গুজরাটের মরবিতে ব্রিজ দুর্ঘটনার পর নড়েচড়ে বসল রাজ্য প্রশাসন। রাজ্যের সেতু নিয়ে মঙ্গলবার নবান্নে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করে রাজ্য সরকার। বৈঠকে পিডব্লিউডি দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায় সমস্ত সেতু নিয়ে বিভাগীয় আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং কীভাবে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা দেন। পুলক রায় বলেন, রাজ্য জুড়ে পিডব্লিউডি বিভাগের অধীনে মোট ২১০৯ টি সেতু রয়েছে, যেগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার কথা বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি একটি অডিট রিপোর্ট তৈরি করতে বলা হয়েছে, যাতে সেতুগুলোর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে সরকারকে আপডেট করা যায়।
কিছু মূল নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে
* প্রতি সেতু মাসে অন্তত একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।
* সেতুর অডিট রিপোর্ট তৈরি করতে হবে।
* সেতু লোড পরীক্ষা করতে হবে।
* সেতুর অবস্থা খারাপ হলে অবিলম্বে মেরামত করতে হবে।
* সেতুর রিপোর্ট জেলা প্রশাসনকে পাঠাতে হবে মন্ত্রীর কাছে।
বিভাগীয় আধিকারিকদের মতে, রাজ্যের পিডব্লিউডি বিভাগের অধীনে প্রায় ১২টি সেতুর অবস্থা খারাপ বলে জানা গেছে। এগুলোর জরাজীর্ণ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত সংস্কারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, এর আগেও সেতুগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল, তাতে প্রায় ৭টি সেতুর অবস্থা খুবই খারাপ বলে জানানো হয়। সেই সময় বিজন সেতু, গৌরীবাড়ি অরবিন্দ সেতু, বেলগাছিয়া, টালিগঞ্জ সার্কুলার রোড ব্রিজ, ঢাকুরিয়া ব্রিজ, টালা ব্রিজ এবং সাঁতরাগাছি ব্রিজ তাৎক্ষণিক মেরামতের তালিকায় রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে টালা ব্রিজ ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হয়েছে এবং সাঁতরাগাছি ব্রিজও মেরামত করা হবে।
মাঝেরহাট ব্রিজ দুর্ঘটনার পর সতর্ক হয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকরা মহানগরের সমস্ত সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। এর আগে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০টি সেতুর একটি তালিকা প্রস্তুত করেছিলেন, যাদের প্রায় ভগ্নদশা বলা হয়েছিল। এ সময় কিছুক্ষণ ধরে সবগুলো সেতু পরীক্ষা করা হচ্ছিল। যদিও পরে সেই কাজ থিতো হয়ে পড়ে। আর এখন গুজরাটের মরবিতে ব্রিজ ভেঙে পড়ায় ফের নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার এবং সেতুগুলির রোগ ধরার জন্য ডিক্রি জারি করা হল।
No comments:
Post a Comment