মামলাকারিদের আইনজীবীরা কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল ২৬৯ জনের তথ্য চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে চিঠি দিয়েছেন। সে তথ্য সংগ্রহের পর সবাইকে এ সংক্রান্ত একটি পিটিশন পাঠানো হবে।
সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই ২৬৯ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের বিষয়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলায় ২৬৯ জনকে যুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার মামলাকারিদের পক্ষের আইনজীবীরা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে চিঠি দিয়ে কিছু তথ্য চেয়েছেন।
সূত্রমতে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে চাওয়া তথ্যে ২৬৯ জনের নাম, যাদের চাকরি বাতিল করা হয়েছে, তাদের ঠিকানা, বয়স এবং তারা যে স্কুলে পড়াচ্ছিলেন তার নাম।
পর্ষদের কাছ থেকে সব তথ্য পাওয়ার পর তাদের কাছে মামলার আবেদন পাঠানো হবে। ফলে যাদের চাকরি বাতিল হয়েছে ২৬৯ জনের সংযোগের কাজ শুরু।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০১৪ সালের টেট নিয়োগের তালিকায় বেআইনিভাবে অতিরিক্ত প্রথম স্থান দেওয়া ২৬৯ জনকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। পরে একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন বহিষ্কৃত প্রার্থীদের একাংশ। কিন্তু বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশও বহাল রেখেছে বেঞ্চ।
এরপর মামলাকারিরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। ১৮ অক্টোবর, সুপ্রিম কোর্ট এই ২৬৯ জনের চাকরির অবসান স্থগিত করেছিল। এছাড়াও এই ২৬৯ জনকে কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চে ফেরত পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে একক বেঞ্চ এই ২৬৯ জনকে এই বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত করবে এবং তারপরে তাদের বক্তব্য শুনে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলায় ২৬৯ জনকে যুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
No comments:
Post a Comment