অনেকেই সকালের জলখাবারে ফল ও ড্রাইফ্রুট যুক্ত করেন। খেজুর খুবই স্বাস্থ্যকর। প্রতিদিন ভেজানো খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। খেজুর প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, কপার, জিঙ্ক এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ এতে পাওয়া যায়। এই পুষ্টিগুণ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।খেজুরের প্রভাব উষ্ণ, তাই শীতকালে খেজুর খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
হার্টের জন্য উপকারী
খেজুর হার্টের জন্য উপকারী। ভেজানো খেজুর খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। খেজুরে উপস্থিত পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। হার্টকে সুস্থ রাখতে হলে ভেজানো খেজুর খাওয়া খুবই উপকারী।
হাড় এবং পেশী শক্তিশালী করুন
খেজুরে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা হাড় ও পেশির মজবুতির জন্য অপরিহার্য। হাড় মজবুত করতে চাইলে প্রতিদিন সকালে ভেজানো খেজুর খেতে হবে। এতে দুর্বলতা দূর হবে এবং ব্যথা থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে।
হজমের জন্য উপকারী
খেজুর হজমে খুবই উপকারী। এটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা হয় না। খেজুর পেট নরম রাখে। এর ব্যবহারে পাইলসের সমস্যাও উপশম হয়।
ত্বক উজ্জ্বল করুন
খেজুরে উপস্থিত পুষ্টিগুণ ত্বকের জন্যও উপকারী। খেজুরে বার্ধক্য প্রতিরোধী গুণ রয়েছে। এটি ব্যবহারে মুখের বলিরেখা দূর হয়। খেজুর খেলে ত্বক টানটান হয় এবং মুখ উজ্জ্বল দেখায়।
রক্তাল্পতা নিরাময়
খাজুতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়। প্রতিদিন খেজুর খেলে রক্তস্বল্পতা দূর হয়। শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়িয়ে রক্তশূন্যতার মতো রোগে খেজুর উপকারী।
ওজন লাভ
পুষ্টিগুণে ভরপুর খেজুর ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। খেজুর শরীরের দুর্বলতা দূর করে। এটি রক্ত বাড়াতেও কাজ করে। খেজুর খেলে ওজন বাড়ানো যায়। ওজন বাড়াতে প্রতিদিন ৪-৫টি খেজুর খেতে হবে।
No comments:
Post a Comment