শীতকালে গুড় খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে মনে করা হয়। এটি খেলে ঠান্ডায় যেমন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, তেমনি অনেক রোগের হাত থেকেও রক্ষা করে। ডায়াবেটিস, রক্তে শর্করা, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং স্থূলতায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদেরও শীতে চিনির পরিবর্তে গুড়ের চা এবং দুধ পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। শীতকালে গুড়ের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ভেজাল গুড়ও বিক্রি শুরু হয় প্রচুর পরিমাণে। এর জন্য অনেকে নকল গুড়ের মধ্যে চিনির ক্রিস্টাল মেশায়, এতে পেট খারাপ হতে পারে এবং আপনি সরাসরি হাসপাতালে পৌঁছাতে পারেন।
জল গুড়ের রহস্য প্রকাশ করে
আপনি যে গুড় পেয়েছেন তা আসল না ভেজাল তা শনাক্ত করতে, একটি ছোট গুড় নিন এবং এটি জলে গুলে নিন। যদি ভাসতে থাকে তাহলে সেটা আসল গুড়। অন্যদিকে জলের নিচে বসে থাকলে বুঝবেন এতে অনেক ধরনের ভেজাল আছে।
রঙ দিয়ে ভেজাল চেনা যায়
গুড়ের রং দেখেও চিনতে পারবেন এটি আসল নাকি ভেজাল। আপনার গুড়ের রং যদি গাঢ় বাদামী হয়, তাহলে বুঝবেন এটা আসল। অন্যদিকে, যদি এর রঙ হালকা বাদামী বা সাদা হয়, তবে এটি একটি লক্ষণ যে গুড়ের রং পরিষ্কার করতে এতে অনেক ধরনের রাসায়নিক মেশানো হয়েছে। এই ধরনের রঙিন গুড় কেনা থেকে সবসময় বিরত থাকতে হবে।
স্বাদ দ্বারাও চিহ্নিত করা যায়
গুড়ের স্বাদও বলে দিতে পারে এটা ভেজাল কি না। খাঁটি গুড়ের স্বাদ মিষ্টি। অন্যদিকে, গুড় খাওয়ার পর যদি কিছুটা নোনতা বা তেতো মনে হয়, তাহলে বুঝবেন এতে রাসায়নিক বা অন্যান্য জিনিস মেশানো হয়েছে। এ ধরনের ভেজাল গুড় খেলে উপকার কম এবং ক্ষতি বেশি হয়।
No comments:
Post a Comment