আমাদের দেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই নিয়ে প্রতিদিনই বিতর্ক হয়, কিন্তু আফ্রিকার একজন ব্যক্তির বর্ধিত পরিবারের কথা শুনলে আপনার মাথা ঘোরাবে। এই লোকটির ২-৪টি নয়, মোট ১২টি স্ত্রী রয়েছে এবং তাদের থেকে ১০২টি সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর এখন তিনি মনে করেন যে পরিবারকে সীমিত করার সময় এসেছে। এই ব্যক্তি পেশায় একজন কৃষক এবং তার আয় এখন পরিবারের ভরণপোষণের জন্য কম হচ্ছে।
উগান্ডার কৃষক মোসেস হাসহায়া তার বড় পরিবারের জন্য সারা বিশ্বে পরিচিত। তিনি এত বছর ধরে ১২ জন স্ত্রী থেকে ১০২ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এবং ৫৬৮ জন নাতি-নাতনি রয়েছে। এত কিছু করার পর পরিবার সীমিত করার কথা ভাবছেন এই ব্যক্তি। মজার ব্যাপার হল এতগুলো সন্তান জন্ম দেওয়ার পর এখন স্ত্রীদের জন্য গর্ভনিরোধক ওষুধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পদ্ধতির কথা ভাবছেন মুসা।
মুসা হাসাহায়া বসবাস করেন উগান্ডার লুসাকা শহরে, যেখানে বহুবিবাহ আইনত অপরাধ নয়। এই কারণেই তিনি একের পর এক বিয়ে করতে থাকেন এবং এখন তাঁর ১২টি স্ত্রী রয়েছে। তার সব স্ত্রী একই বাড়িতে থাকে যাতে সে তাদের উপর নজর রাখতে পারে। তার মোট ১০২টি সন্তান রয়েছে, যার মধ্যে ১১টি সন্তান কনিষ্ঠ স্ত্রী জুলেকার। ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আপাতত পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুসা।
ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬৭ বছর বয়সী মুসা এখন দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে পরিবার সীমিত করার কথা ভাবছেন এবং তার স্ত্রীরা গর্ভনিরোধক ব্যবহার করছেন। খারাপ অর্থনৈতিক অবস্থার পিঠ ভেঙেছে ,১০২টি সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর মুসা বুঝতে পেরেছেন যে জীবনযাত্রার ব্যয় বছর বছর বাড়ছে এবং কৃষি পেশা থেকে তার আয় কম। মুসার এক তৃতীয়াংশ সন্তানের বয়স ৬ থেকে ৫১ বছরের মধ্যে। সব শিশুই তার সঙ্গে কৃষিকাজ করে। মুসার বড় ছেলে মুসার ১১তম স্ত্রীর চেয়ে ২১ বছরের বড়। মুসার ২ স্ত্রী দারিদ্র্যের কারণে তাকে ছেড়ে চলে গেছে এবং এখন বাকি স্ত্রীরা গর্ভনিরোধক বড়ি সেবন করছে। যদিও লুসাকা শহরে গর্ভনিরোধক বড়ির ব্যবহার ভালো বলে মনে করা হয় না।
No comments:
Post a Comment