বাইশ সাল শেষ হতে চলল। চলতি বছরে ঘটে গিয়েছে এমন অনেক ঘটনা যা কখনও ভালো, তো কখনও খারাপ স্মৃতি উস্কে দিয়েছে। তেমনই একটি ঘটনা হল অরুনাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে ভারত-চীনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ! তবে, সুখকর বিষয়, ড্রাগনকে উপযুক্ত জবাব ভারতীয় সেনা। যদিও এই মারামারিতে দু'পক্ষের ২০-৩০ জন সেনা আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
৯ ডিসেম্বর তাওয়াংয়ে এই সংঘর্ষ হয়। ঘটনা প্রকাশ্যে আসে তিন দিন পরে। তথ্য অনুযায়ী, পিপলস লিবারেশন আর্মির সেনারা প্রথমে তাওয়াং সেক্টরে এলএসি-তে সংঘর্ষ শুরু করে। এরপর ভারতীয় সেনারাও পাল্টা জবাব দেয়। জানা গিয়েছে, টহল দেওয়ার সময় দুই দেশের সেনাদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। পিপলস লিবারেশন আর্মির সৈন্যরা এলএসি-তে পৌঁছতে চেয়েছিল।
সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মুখোমুখি সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছেন। উভয় পক্ষই তৎক্ষণাৎ এলাকা থেকে সরেও যায়।
বলা হচ্ছে, ২০০৬ সাল থেকে দুই দেশের সেনারা এখানে টহল দিত। সূত্রের মতে, সংঘর্ষের পরে, ভারতীয় কমান্ডার শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে তার প্রতিপক্ষের সাথে একটি পতাকা বৈঠকও করেছেন।
সেনা সূত্র জানিয়েছে যে, ৯ ডিসেম্বর ভারতীয় সৈন্যরা অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে এলএসিতে চীনা পিএলএ সৈন্যদের দৃঢ়তার সাথে মুখোমুখি হয়েছিল। তাওয়াং সেক্টরে ভারত-চীন সংঘর্ষে আহত অন্তত ৬ সেনাকে চিকিৎসার জন্য গুয়াহাটিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
বলা হচ্ছে, তাওয়াং-এর মুখোমুখি এলাকায় চীনা সেনাদের যোগ্য জবাব দেয় ভারতীয় সেনারা। আহত চীনা সৈন্যের সংখ্যা ভারতীয় সেনাদের থেকেও বেশি। ড্রাগন প্রায় ৩০০ সেনা নিয়ে সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে এসেছিল, কিন্তু তারা ভুলেও ভাবেনি যে, ভারতীয় পক্ষ এত ভালোভাবে প্রস্তুত থাকবে পাল্টা জবাব দিতে। শেষমেষ ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে মার খেয়েই ফিরতে হয় ড্রাগনকে।
No comments:
Post a Comment