রাম ভক্ত হনুমান, বজরংবলী, অঞ্জনিপুত্র, পবনপুত্র ইত্যাদি অনেক নামে পরিচিত। তাঁর এই সমস্ত নামের সঙ্গে জড়িত রয়েছে কিছু মজার গল্পও । চলুন জেনে নেই সেই গল্পগুলি-
হনুমান:
পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, হনুমানের ছোটবেলার নাম ছিল মারুতি। একবার মারুতি সূর্যকে দেখে একটি পাকা ফল ভেবেছিলেন। সেটা খাওয়ার ইচ্ছে হলে, সূর্যকে গিলে ফেলেন তিনি। এ কারণে সারা বিশ্বে অন্ধকার নেমে আসে। এরপর ভগবান ইন্দ্র তার ব্রজ তুলে মারুতির চিবুকে আঘাত করেন, এরপর 'হনুমান' নামটি পান তিনি।
সঙ্কট মোচন:
সঙ্কট মোচন নামের কারণ হল তিনি সব সময় সমস্যা দূর করে সকলকে রক্ষা করেছেন। লক্ষ্মণের জীবন বাঁচানোর জন্য সঞ্জীবনী ভেষজ আনেন আর ভগবান রামের উপর কোন বিপর্যয় আসলে প্রতিটি সংকট দূর করে দেন হনুমান। এই কারণে তাঁর নাম সঙ্কট মোচন।
পবনপুত্র:
হনুমানের মায়ের নাম ছিল অঞ্জনী এবং পিতার নাম কেশরী। মা অঞ্জনী একবার তপস্যা করে বায়ুদেবকে খুশি করেছিলেন এবং বায়ুদেব মাতা অঞ্জনীকে পুত্র লাভের আশীর্বাদ করেছিলেন। বায়ুদেবের আশীর্বাদে কেশরী ও অঞ্জনী একটি পুত্র লাভ করেন। বায়ুদেবের আশীর্বাদে জন্মগ্রহণ করে, ঋষিরা মারুতিকে পবনপুত্রের মতো নাম দিয়েছিলেন।
কেশরিনন্দন:
হনুমানের আরেক নাম হল কেশরিনন্দন। মা অঞ্জনী তার পূর্বজন্মে দেবকন্যা ছিলেন, যার নাম ছিল পুঞ্জিকাস্থল। পুঞ্জিকাস্থল ছিল সুন্দর ও কৌতুকপূর্ণ প্রকৃতির। স্বভাবের কারণে তিনি একবার তপস্যা করতে গিয়ে এক ঋষির সঙ্গে অশ্লীলতা করেছিলেন, যার ফলে ঋষির তপস্যা ভঙ্গ হয়।
এরপর রাগান্বিত হয়ে ঋষি পুঞ্জিকাস্থলকে অভিশাপ দেন পরের জন্মে তিনি যাকে ভালোবাসবেন তার পরের জন্মে বানরের মুখ হবে। ভবিষ্যতে অঞ্জনীর বিয়ে হয়েছিল কেশরী নামে এক নরের সঙ্গে তবে কেশরী ছিলেন বানর মুখো। বাবার নাম অনুসারে হনুমানের নামও রাখা হয় কেশরিনন্দন।
বজরংবলী:
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, হনুমানের দেহ ব্রজের মতো শক্তিশালী, খুব শক্তিশালী হওয়ায় তাকে বজরংবলী বলা হয়। বজরং মানে জাফরান রঙ আর বলী মানে শক্তিশালী।
No comments:
Post a Comment