শিশুদের পড়াশোনায় বিগত চার বছর ধরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাই বিসাইড ইউ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। চলতি বছরেও তাদের কর্মসূচিতে ভাটা পড়েনি। আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লক ও আলিপুরদুয়ার ওয়ান ব্লকের কয়েকটি স্কুলের ৩০ জন পড়ুয়ার সম্পূর্ণ পড়াশোনার দায়িত্ব গ্রহণ করল এই সংস্থা। ১২ই জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনের দিন এইসকল পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হয় শিক্ষা সামগ্রী এবং নতুন ক্লাসে ভর্তির ফিস। পাশাপাশি ছোট্ট একটি অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয় তাদের এই কর্মসূচি ঘিরে।
যেসব শিশুরা মেধা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র আর্থিক কারণে পিছিয়ে পড়ে, তাদের পাশেই ঢাল হয়ে দাঁড়ায় এই সংস্থা। কালচিনি ব্লকের পিসি মিত্তাল মেমোরিয়াল হাই স্কুল, হ্যামিল্টনগঞ্জ হাই স্কুল, ইউনিয়ন একাডেমি কালচিনি হাই স্কুল, ইউনিয়ন একাডেমি হাই স্কুল ফর গার্লস, উত্তর লতাবাড়ি হিন্দি হাই স্কুল, শংকর নেপালি হাইস্কুল, কালচিনি হিন্দি হাই স্কুল এবং আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের আলিপুরদুয়ার হাই স্কুল, সোনাপুর বি-কে হাই স্কুলের মোট ৩০ জন ছাত্র-ছাত্রীদের এদিন শিক্ষা সামগ্রী যেমন ব্যাগ, খাতা, পেন, পেন্সিল, কালার পেন্সিল, পেন্সিল বক্স, ড্রয়িং খাতা, জলের বোতল, এক্সাম বোর্ড, লাঞ্চ বক্স ইত্যাদি প্রদান করা হয়।
এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ার মাধ্যমিক শিক্ষা পরিদর্শক-এর প্রতিনিধি হিসেবে শ্রী গণেশ উচ্চ বিদ্যালয়-এর প্রধান শিক্ষক কৌশল কিশোর, লতাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কাকলী দাস, হ্যামিল্টনগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরিন্দম মজুমদার, ইউনিয়ন একাডেমী হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ দত্ত, বুন ইংলিশ স্কুলের প্রিন্সিপাল মমতা ঘিসিং, চেয়ারম্যান রঞ্জিত ঝা, উত্তর লতাবাড়ি হিন্দি হাই স্কুলের সহ-শিক্ষক শ্রী সুশান্ত বাড়ুই সহ অনেকে।
এছাড়াও এদিনের এই অনুষ্ঠানে রাজাভাতখাওয়া বন দফতরের রেঞ্জার অমলেন্দু মাঝিকেও সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। সংস্থার তরফে জানানো হয়, জয়ন্তীতে এই সংস্থার তরফে যে বিনামূল্যে কম্পিউটার কোচিং সেন্টার চালানো হয়েছিল, রেঞ্জার অমলেন্দু মাঝি যথাযথ সাহায্য করেন। তাকে সম্মান জানাতে পেরে বাই বিসাইড ইউ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সকল সদস্য-সদস্যারা দারুন খুশি।
শুরুটা হয়েছিল ৭ জন থেকে, আর আজ বাই বিসাইড ইউ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পড়ুয়াদের সংখ্যা (যাদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে সংস্থা) সংস্থা ৩০- এ পৌঁছে গেছে। আগামী বছর এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করতে পারলে সংস্থার প্রত্যেক সদস্য নিজেদের গর্বিত বলে মনে করবে, জানান সংস্থার সদস্যরা।
No comments:
Post a Comment