কাশির সমস্যা সাধারণ, তবে এটি দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে এটি ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণও হতে পারে। আমরা সাধারণ কাশি এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের মধ্যে কয়েকটি উপায়ে পার্থক্য করতে পারি।
ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ: আমরা সবাই কাশিকে একটি সাধারণ রোগ বলে মনে করি। শীত ও বর্ষার দিনে কাশি, সর্দি-সর্দি লেগেই থাকে। সাধারণত কফ রোগ কয়েকদিনের মধ্যে সেরে যায়। আমরা কাশির মতো রোগকে খুব হালকাভাবে নিই, কিন্তু তা করা স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে কাশিও ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। আসুন জেনে নিই কাশির কারণে কী কী সমস্যা হয়।
কিভাবে ফুসফুসের ক্যান্সার সনাক্ত করা যায়
আপনার যদি ৩ সপ্তাহ ধরে কাশি থাকে তবে এটি ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। কাশির সময় ফুসফুসে ব্যথাও হয়। এর পাশাপাশি কফের সাথে রক্তও বের হতে পারে।
ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ
ফুসফুসের ক্যান্সার হলে বুকে ব্যথা, কাশি, শ্বাস নিতে অসুবিধা, নার্ভাসনেস, ওজন কমে যাওয়া এবং ক্লান্তির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। ক্যান্সারের শেষ পর্যায়ে এই লক্ষণগুলো দেখা দেয়।
এগুলো কাশির কারণেও হতে পারে
ফুসফুসের ক্যান্সার ছাড়াও কাশি অনেক গুরুতর রোগের লক্ষণ হতে পারে। কাশি হাঁপানি, সংক্রমণ, গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) এবং পোস্ট-নাসাল ড্রিপের লক্ষণ হতে পারে। অতিরিক্ত কাশি উপেক্ষা করা উচিৎ নয়।
কাশি নিরাময়ের উপায়
কাশি দীর্ঘ সময় ধরে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরি করা উচিৎ নয়। আমরা কিছু ঘরোয়া প্রতিকারের সাহায্যে সাধারণ কাশি নিরাময় করতে পারি। কাশি থেকে মুক্তি পেতে আদা, তুলসী, মধু ও গোল মরিচ, গরম জিনিস এবং দারুচিনির ক্বাথ তৈরি করে পান করলে উপকার পাওয়া যায়। কাশি এড়াতে চাইলে ঠান্ডা জিনিস থেকে দূরে থাকতে হবে এবং গরম জিনিস খেতে হবে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে লেখা- নতুন যে কোনও কিছু ট্রাই করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment