জালিয়াতি করে প্রধান শিক্ষকের ছেলে চাকরি পেয়েছিলেন বাবার স্কুলে। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বোস 'শিক্ষক' তিন বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন জেনে হতবাক, তবে জেলা স্কুল পরিদর্শক তা জানেন না। যেনো তাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি? বৃহস্পতিবার বিচারপতি বসু সিআইডিকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলেন। তিনি আরও বলেন, এ ধরনের আরও নিয়োগ ভুয়ো হতে পারে। সেটাও তদন্ত হওয়া উচিৎ।
এ বিষয়ে শুনানির জন্য রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি-র ডিআইজিকে তলব করেন বিচারক। তার উপস্থিতিতে বিচারক মামলার তদন্তের দায়িত্ব সিআইডিকে দেন এবং জেলা পরিদর্শক স্কুলের একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা উচিৎ। তার ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় সংস্থা তদন্ত করবে।
আদালত দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে ফের শুনানি হবে আদালতে। এ ছাড়া ২০১৬ সাল থেকে নিয়োগ পাওয়া সব শিক্ষকের তথ্য যাচাই করা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন বিচারক। তিনি বলেন, জেলা স্কুল পরিদর্শকের উচিৎ এটি শুরু করা। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বোস বলেন, "এই ঘটনাটি অজান্তেই ঘটেছে। এই ঘটনার তদন্ত হওয়া দরকার।” বৃহস্পতিবার, তিনি আরও বলেন, “আমি অবাক হয়েছি যে জেলা পরিদর্শক এই নিয়োগের বিষয়ে কিছুই জানেন না। কিন্তু ওই শিক্ষক গত তিন বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন। এ ব্যাপারে কেউ কিছু জানে না কেন!”
ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের সুতি-১ ব্লকের। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির ছেলে অনিমেশ তিওয়ারির বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের 'বাবার স্কুলে' চাকরি পাওয়ার জন্য একজন পাস করা শিক্ষকের নিয়োগপত্র জাল করার অভিযোগ উঠেছে। ২০১৯ সাল থেকে অনিমেষ সেই স্কুলে ভোকেশনাল টিচার হিসেবে বেআইনিভাবে কাজ করছেন।এ বিষয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা স্কুল পরিদর্শক জানিয়েছেন যে অনিমেষের নিয়োগপত্র সম্পর্কে তার কাছে কোনও তথ্য নেই।
নিয়োগপত্র না জানা সত্ত্বেও অনিমেষ কীভাবে তিন বছরের বেতন পেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারক। অরবিন্দ মাইতি মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গার একটি স্কুলে ভূগোল শিক্ষকের চাকরি পান। অনিমেষ তার নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর কপি করে বাবা আশিসের স্কুলে চাকরি পান বলে অভিযোগ। আদালত অবশ্য বুধবার অনিমেষের বেতন স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি অনিমেষের স্কুলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment