একাধিক বিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র নিয়ে সদ্যই প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিক টেস্ট পেপার। আর সেই প্রশ্নপত্র নিয়েই এবারে শুরু হল বিতর্ক। মালদহের একটি স্কুলের প্রশ্নে ভারতের মানচিত্রে 'আজাদ কাশ্মীর' চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে তোলপাড়। প্রকাশিত ঐ প্রশ্নের ছবি ট্যুইট করে রাজ্য সরকারকে এক হাত নিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারও এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে তদন্ত দাবী করেছেন এবং অবিলম্বে ঐ প্রশ্ন সরিয়ে ফেলার দাবী জানিয়েছেন। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবী, আজাদ কাশ্মীর নিয়ে তারা কোনও ভুল করেননি।
অভিযোগ, পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ঐ প্রশ্নে আজাদ কাশ্মীর রূপে উল্লেখ করা হয় হয়েছে। দিলীপ ঘোষ ট্যুইট করেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির সমর্থক। মাধ্যমিক টেস্ট পেপার ২০২৩-এর ১৩২ পৃষ্ঠায় ইতিহাসের প্রশ্নপত্রের চিহ্নিত অংশটি দেখুন। শিক্ষার্থীদের পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের অংশকে আজাদ কাশ্মীর হিসেবে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে।” তিনি টেস্ট পেপারের ছবি এবং প্রশ্নপত্রের ছবিও ট্যুইট করেছেন।
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, রাজ্য শিক্ষা মন্ত্রী কে নিয়ে খোঁজ নিতে হবে কারা এর পেছনে রয়েছে তা জানতে হবে। যদি অভিযোগ সত্যি হয় ব্যবস্থা নিতে হবে প্রকাশকের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে জাতীয়তাবাদ বিরোধী একটা সুর রয়েছে, এসব বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উৎসাহিত করবে।' এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার আলাদাভাবে তদন্ত করবে বলেও জানিয়েছেন সুভাষ সরকার।
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেসও। কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, 'আজাদ কাশ্মীর পাকিস্তানে কেন, তার সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এ ধরনের প্রশ্ন থেকে বিরত থাকা উচিৎ বলেই আমি মনে করি।'
এদিকে যে স্কুলের প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক, সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কথায়, 'আমাদের মাধ্যমিকের টেস্ট পেপার নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু নেতিবাচক কোনও ভাবনা ছাত্রদের মধ্যে ঢোকাতে চাই না। যে সত্য ইতিহাসের পাতায় আছে, সেটাই তুলে ধরা হয়েছে। সরকারি বইয়ের নিরিখে পড়াশোনা করাই, প্রশ্ন করি, বই থেকেই প্রশ্ন করা হয়েছে।'
No comments:
Post a Comment