আগেকার দিনে রাজা বাদশাদের যুদ্ধ হলে দুর্গে রাখা গোলাবারুদ দিয়ে যুদ্ধ হত। রাজস্থানের চুরু জেলায় রয়েছে এরকমই একটি দুর্গ,চুরু দুর্গ। ১৬৯৪ সালে ঠাকুর কুশল সিং এই দুর্গটি তৈরি করেছিলেন। এটি তৈরির পেছনে উদ্দেশ্য ছিল আত্মরক্ষার পাশাপাশি তার রাজ্যের জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়া। কিন্তু পৃথিবীর ইতিহাসে এই দুর্গের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয় কেন? চলুন জেনে নেই -
এটিই বিশ্বের একমাত্র দুর্গ যেখানে যুদ্ধের সময় গোলাবারুদ শেষ হয়ে গেলে, শত্রুদের উপর কামান থেকে রূপোর বল নিক্ষেপ করা হত। ইতিহাসে এই ঘটনাটি ১৮১৪ সালে ঘটে। সেই সময়ে এই দুর্গটি ঠাকুর শিবজি সিং দ্বারা শাসিত হয়েছিল, যিনি ছিলেন ঠাকুর কুশল সিংহের বংশধর।
ঐতিহাসিকরা বলেছেন যে ঠাকুর শিবজি সিংয়ের সেনাবাহিনীতে ২০০ পদাতিক সৈন্য এবং ২০০ ঘোড়সওয়ার ছিল। ১৮১৪ সালের অগস্ট মাসে, বিকানের রাজ্যের রাজা সুরত সিং তার সেনাবাহিনী নিয়ে চুরু দুর্গ আক্রমণ করেন।
ঠাকুর শিবজি সিং তার সৈন্যবাহিনীর সঙ্গে তার সঙ্গে প্রবলভাবে যুদ্ধ হয়। কিন্তু যুদ্ধের কয়েকদিন পর তার গোলাবারুদ ফুরিয়ে যায়। এতে রাজা চিন্তিত হয়ে পড়লেও সেখানকার জনগণ রাজাকে পূর্ণ সমর্থন করে এবং রাজ্য রক্ষার জন্য তাদের সমস্ত সোনা-রূপা উৎসর্গ করে।
এর পরে, ঠাকুর শিবজি সিং তার সৈন্যদের শত্রুদের দিকে কামান থেকে রূপার বল ছোড়ার নির্দেশ দেন। শেষ পর্যন্ত পালিয়ে যায় শত্রু পক্ষ ।
No comments:
Post a Comment