শীত পর্ব শেষ হতে না হতেই গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা, হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যাও। আর রোগীর চাপেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন দুই চিকিৎসক। ঘটনা জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি গ্ৰামীণ হাসপাতালের। স্বাস্থ্য কর্মীদের দাবী, চিকিৎসক কম থাকায় একটানা ডিউটির জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তারা।
সোমবার আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন চিকিৎসক দেবস্মিতা সরকার। রক্ত বমি শুরু হওয়ায় তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। এর দুইদিন আগেই অসুস্থ হন চিকিৎসক তানিয়া ঘোষ। কর্তব্যরত এক চিকিৎসক সৌমেন গাইন বলেন, 'ইতিমধ্যেই দুজন চিকিৎসক তানিয়া ঘোষ ও দেবস্মিতা সরকার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যতক্ষণ না ম্যান পাওয়ার বাড়ানো যাচ্ছে, এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।'
তিনি জানান, একজন চিকিৎসককে সপ্তাহে ৬০-৭০ ঘন্টা ডিউটি করতে হচ্ছে। কাউকে আবার একটানা ২৪ ঘন্টাও ডিউটি করতে হচ্ছে।
অসুস্থ চিকিৎসক দেবস্মিতা সরকার বলেন, গরম বাড়ায় রোগীদের সংখ্যাও বাড়ছে, ফলে ডাক্তারদের ওপর প্রচণ্ড চাপ।
উল্লেখ্য, ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে বর্তমানের চিকিৎসক সংখ্যা পাঁচ জন। তার মধ্যে দুজন অসুস্থ এবং একজন মালবাজারে যাতায়াত করছেন ট্রেনিংয়ের জন্য। বাকি দুই চিকিৎসককে সামলাতে হচ্ছে আউটডোর থেকে ইনডোর ও প্রসূতি বিভাগও। এখানেও শয্যা সংখ্যা ৮২। এই হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল একটি গ্রাম পঞ্চায়েত, একটি পুরসভা এবং ২৭টি চা বাগানের বাসিন্দারা। ফলত প্রতিদিন হাজারের বেশি রোগী আসেন হাসপাতালে, আর তাদের সামলাতেই রীতিমত নাকানি-চোবানি খাচ্ছেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরাও।
No comments:
Post a Comment