নদী থেকে বালি তুলতে গিয়ে মৃত্যু ৩ জনের। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের মাটিগাড়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বালাসন নদী থেকে বালু তোলার সময় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজনের মধ্যে দুজন নাবালক। মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিলিগুড়ি সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই বেআইনি বালি তোলার অভিযোগ উঠেছে। এখন এই ঘটনার জেরে আবারও বেআইনি বালু উত্তোলনের ঘটনায় আগুন লেগে যেতে পারে।
মৃতদের নাম রোহিত সাহনি (১৫), শ্যামল সাহনি (১৫) এবং মনু কুমার (২০)৷ তাদের মধ্যে রোহিত বিহারের সীতামারহির বাসিন্দা। শিলিগুড়িতে দাদার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল সে। সকালে অন্যদের সঙ্গে বালু তুলতে গিয়ে প্রাণ হারাল।
নিহতের স্বজন সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে মাটিগাড়ার বালাসন নদী থেকে বালু তোলার সময় এ ঘটনা ঘটে। নদী থেকে বালি তুলে বালির পাহাড়ের মতো স্তূপ করা হয়। সেই উঁচু ঢিবি থেকে বালি কাটতে গিয়ে হঠাৎ ওপর থেকে একটা বেলেপাথর নিচে পড়ে গেল। ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যায়। রোহিতের আত্মীয় গণেশ সাহনি বলেন, “রাত ২টা থেকে বালি কাটার কাজ চলছিল। নাবালকদের সেখানে যেতে দেওয়া না হলেও তারা শোনেনি। বালুর ঘাট এখন বন্ধ। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছিল।”
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব ও পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকরা। মামলার তদন্ত চলছে। রাজেন্দ্র চ্যাবন নামে আরেক স্থানীয় বাসিন্দাও নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, “বর্তমানে নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকলেও এখানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছিল। নিহত যুবকের দাদা নরেশ সরদারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, যার নির্দেশে তিনজনই বালু ও মাটি কাটতে গিয়েছিল।" শোকের পাহাড় ভেঙেছে নিহতের স্বজনদের ওপর। এলাকায় বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে।
No comments:
Post a Comment