দিল্লীর উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার গ্রেফতারি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কড়া চিঠি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিরোধী দলের ৯ বড় নেতার। চিঠিতে লেখা হয়েছে, গণতন্ত্র থেকে একনায়কতন্ত্রের পরিণত হয়েছে দেশ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে অন্যায় ভাবে কাজে লাগিয়ে দেশের বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। মণীশ সিসোদিয়ার গ্রেফতারি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে গণতন্ত্রের স্বৈরাচার ব্যবস্থাকে।'
চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, আমরা আশা করি আপনি একমত হবেন যে ভারত এখনও একটি গণতান্ত্রিক দেশ। বিরোধী দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি নির্লজ্জ আচরণ চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়, আমরা গণতন্ত্র থেকে স্বৈরাচারে পরিণত হয়েছি।' চিঠিতে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং শুভেন্দু অধিকারীর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। তারা লিখেছেন, 'বিজেপিতে যোগদানের পরে, এনাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির তদন্ত প্রক্রিয়া ধীর হয়ে গেছে।'
বাংলা থেকে মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা কোথাও সিবিআই তো কোথাও ইডি দাপিয়ে বেড়েচ্ছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যে বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। একদিকে বাংলায় জেলে রয়েছে, পার্থ, মানিক, অনুব্রতর মত তৃণমূল নেতারা। তেমনই গত রবিবার আফগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লীর উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এই গ্রেফতারিকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখছেন দেশের বিরোধীদলের নেতারা। কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে এবং মনীশের গ্রেফতারি কাণ্ডে এবারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কড়া চিঠি লিখলেন আম আদমি পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস, টিআরএস, আরজেডি, ন্যাশনাল কনফারেন্স, সমাজবাদী পার্টি, শিবসেনা, এনসিপি-র মত বিরোধীরা। তবে এই চিঠিতে কংগ্রেস এবং বামেদের কোনও নেতার সই যেমন নেই, তেমনই ডিএমকে, ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার মত দলেরাও নেই।
প্রধানমন্ত্রীকে যারা চিঠি লিখেছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও ভাগবত মান, কে চন্দ্রশেখর রাও, ফারুক আব্দুল্লাহ, শরদ পাওয়ার, অখিলেশ যাদব, উদ্ধব ঠাকরে তেজস্বী যাদব।
No comments:
Post a Comment