ভারতের দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের চাহিদা বিশ্বব্যাপী। আগে শুধু দুধ, দই, মাখনের মধ্যে ব্যবসা সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন পনির, মেয়োনিজ, চিজ ও তোফুর চাহিদাও বেড়েছে। এই চাহিদা মেটাতে প্রচুর পরিমাণে দুধ খাওয়া হয়। কিছু দুগ্ধ ব্যবসা পশুর সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং কিছু গবাদি পশুকে ইনজেকশন দিয়ে চাহিদা মেটায়, তবে এটি সম্পূর্ণরূপে অনিরাপদ, যা পশুদের স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ প্রভাব ফেলে। জেনে নিন কীভাবে ওষুধি উপায়ে দুধের উৎপাদন বাড়ানো যায়।
ভারতের জনসংখ্যার প্রায় ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ কৃষির উপর নির্ভরশীল। এসব খামারিদের বেশির ভাগই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক শ্রেণির খামারি।খামারীদের আয় বাড়াতে সরকারও তাদের গবাদি পশু চাষের পরামর্শ দেয়। তবে অনেক সময় কৃষকরা অভিযোগ করেন যে তাদের গরু বা মহিষ কম দুধ দিচ্ছে। এতে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে।
গরু-মহিষের দুধ বাড়াতে ঘরোয়া উপায় তৈরি করুন
ওষুধটি তৈরি করতে আপনার প্রয়োজন হবে ২৫০ গ্রাম গমের ডালিয়া, ১০০ গ্রাম গুড়ের শরবত, ৫০ গ্রাম মেথি, একটি কাঁচা নারকেল, ২৫-২৫ গ্রাম জিরা এবং সেলারি। ওষুধ তৈরির জন্য প্রথমে ডালিয়া, মেথি ও গুড় রান্না করুন। তারপর নারকেল দিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে গরুকে খাওয়ান। এই উপাদানগুলি ২ মাস ধরে শুধুমাত্র সকালে খালি পেটে খাওয়ানো উচিৎ। ২৫-২৫ গ্রাম সেলারি এবং জিরা বাছুর হওয়ার ৩ দিন পর দিতে হবে, বাছুরের ২১ দিন পর্যন্ত গরুকে স্বাভাবিক খাবার দিতে হবে। আর বাছুরের বয়স ৩ মাস হলে বা গরুর দুধ কম হলে প্রতিদিন ৩০ গ্রাম করে বার্লি ওষুধ খাওয়াতে হবে, এতে দুধ কমবে না।
সরিষার তেল ও ময়দা দিয়ে ওষুধ তৈরি করুন
ওষুধ তৈরির জন্য প্রথমে ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম সরিষার খৈল এবং ২৫০ গ্রাম গমের আটা নিয়ে দুইটি একত্রে মিশিয়ে সন্ধ্যায় গরুকে খাবার ও জল খাওয়ান। মনে রাখবেন যে গরুকে খাওয়ানোর পরে জল দেওয়া উচিৎ নয়। তাছাড়া এই ওষুধটি জল দিয়ে দেওয়া উচিৎ নয়। তা না হলে গরুর কাশির সমস্যা হতে পারে। এটি গরুকে ৭-৮ দিনের জন্য দিতে হবে এবং পশুকে সবুজ চারণ এবং বিনোলা ইত্যাদি দিতে হবে।
মটরশুটি খাওয়ালে গরু ও মহিষের দুধ বৃদ্ধি পায়
প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, শিম ঘাস খাওয়ালে গরুর দুধের ফলন বাড়ে। শিম ঘাসের ঔষধি গুণ রয়েছে যা দুধ উৎপাদন বাড়ায়। শিম ঘাসের বৈশিষ্ট্য হল এটি অন্যান্য ঘাসের তুলনায় বেশি হজমযোগ্য। এটি প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ যা দুগ্ধজাত গবাদি পশুর জন্য প্রয়োজনীয়।
দুগ্ধজাত গবাদিপশু গরু ও মহিষের যত্নও প্রয়োজন
দুগ্ধবতী গাভী ও মহিষের ঘের সঠিক আলো ও বায়ুচলাচল সহ ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। বৃষ্টির সময় পশুর আরামে বসার জন্য একটি শক্ত জায়গা থাকতে হবে।গরুকে সবুজ চারণ খাওয়াতে হবে। এতে দুধের ফলন বাড়ে, এ ছাড়া গরুকে সময় সময় টিকা দিতে হবে যাতে আগাম রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
No comments:
Post a Comment