প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর চামড়া খুলে ঢোল তৈরির হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল নেত্রী অপরূপা পোদ্দার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শনিবার একটি পোস্ট করেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা, সেখানেই অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে কুরুচিকর আক্রমণ করেন তিনি। যা ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
অপরূপা লেখেন, "অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে সেই দিনটির কথা মনে করতে হবে যেদিন সংসদ ভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি শ্রীমতি সোনিয়া গান্ধীকে আক্রমণ করেছিলেন, সেই সময় কংগ্রেসের কোনও সদস্য ছিল না, কেবল আমি এবং সাংসদ মহুয়া মিত্র সামনে চীনের প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে ছিলাম। সোনিয়া গান্ধী। সোনিয়াজি গিয়েছিলেন এবং আমাদের ধন্যবাদও দিয়েছিলেন।! অধীর রঞ্জন চৌধুরী আপনি আপনার কিছু শিষ্য চামুণ্ডাকে সামনে রেখে মিথ্যে ব্যক্তিগত অভিযোগ দিদির বিরুদ্ধে, যা চেষ্টা করছেন কিছু প্রেস মিডিয়াকে নিয়ে তার মানহানি করার রাজনীতি করছেন।"
তিনি আরও লেখেন, "মনে রাখবেন আপনি যে রাজনীতি করছেন, আমি আপনার চামড়া খুলে ছড়িয়ে ঢোল তৈরি করে আপনার গুরু মোদিজীর সামনে ঢোল বাজাবো।"
এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু পশ্চিমবঙ্গ নন সারা ভারতবর্ষের একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। তাকে এভাবে আক্রমণ করা কংগ্রেসের বা বিজেপির সংস্কৃতি কি না আমি জানতে চাই।' তিনি বলেন, 'অধীর চৌধুরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। অধীর জামা খুলে নাটক করতে পারেন, ওনাদের এটা সংস্কৃতি, তৃণমূলের সংস্কৃতি মানুষের পাশে থাকা।'
অপরূপা পোদ্দারের মন্তব্য প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ বলেন, 'একজন সাংসদের মুখে হিংসা ও উত্তেজনার কথা মানায় না। এমন কথা ওনার দলের সংস্কৃতির পরিচয় দেয়। আমরা এই কুরুচিপূর্ণ ও নর্দমার সংস্কৃতির জবাব দিই না।'
পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো অপরূপার পোস্ট প্রসঙ্গে বলেন, 'এরকম অসংবিধানিক ভাষা তৃণমূলের মুখেই শোভনীয়। আগামী লোকসভা নির্বাচনে মাননীয় অপরূপা পোদ্দার জিতে দেখান। গতবারও ব্যালট বক্স এদিক-ওদিক করে হারতে হারতে জিতেছেন, আমরা সবই জানি।'
অপরদিকে অপরূপার এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী তথা স্নেহাশীষ চক্রবর্তী বলেন, 'কোনও অশ্লীল, অসংসদীয় বা অসংলগ্ন কথা দল অনুমোদন করে না।'
No comments:
Post a Comment