কেন্দ্রীয় সরকারের স্লোগানে লেখা আছে ক্যান্সার একটি দুরারোগ্য ব্যাধি। দেহের যেকোনও অংশে হতে পারে ক্যান্সার । তবে এই চার ধরনের ক্যান্সার খুব মারাত্মকও হতে পারে। তাহলে চলুন জেনে এদের সম্পর্কে-
ওরাল ক্যান্সার:
যারা তামাক, পানমশাল খায় তাদের মুখের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এর উপসর্গের কথা বললে, মুখে বা ঠোঁটের ক্ষত সারে না। দাঁতে শিথিলতা, ত্বকে বিভিন্ন রঙের দাগ দেখা যায়, খাবার খেতে অসুবিধা হয়।তাই এ ধরনের কোনও উপসর্গ দেখা গেলে অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ।
মহিলাদের জরায়ুর ক্যান্সার:
জরায়ুমুখের ক্যান্সার মহিলাদের মধ্যে তৃতীয় সবচেয়ে সাধারণ ধরনের ক্যান্সার। এই ক্যান্সারের প্রধান কারণ হল হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (HPV) ভাইরাস। এটি হয় একাধিক সঙ্গী থাকা, ধূমপান, দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এর প্রধান কারণ। এর উপসর্গগুলো হলো-সম্পর্কের পর অবিরাম রক্তপাত, পিরিয়ডের পরও রক্তপাত, প্রচণ্ড পেটে ব্যথা এবং অদ্ভুত গন্ধ বের হওয়া।
পেটের ক্যান্সার
এর প্রধান কারণ হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি সংক্রমণ। যদি এই সংক্রমণটি দীর্ঘদিন ধরে থাকে তবে এটি হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এটি জেনেটিক কারণ, গ্যাস্ট্রাইটিস এবং পেপটিক আলসারের কারণে ঘটে। অন্যদিকে এর লক্ষণগুলোর কথা বললে, খাবার গিলতে ব্যথা, পেটে প্রচণ্ড ব্যথা, বমি, কম খাওয়ার পরই পূর্ণতা অনুভব করা, বুকজ্বালা, ক্লান্তি ইত্যাদি লক্ষণ অন্তর্ভুক্ত।
ফুসফুসের ক্যান্সার:
ফুসফুসের ক্যান্সার এটি ধূমপান, দূষিত ধোঁয়া এবং বিষাক্ত গ্যাসের সংস্পর্শে আসার কারণে ঘটে। এই ক্যান্সারও জেনেটিক। এর উপসর্গের মধ্যে রয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে অবিরাম কাশি, তীব্র বুকে ব্যথা, কাশি থেকে রক্ত পড়া, ক্লান্ত বোধ করা।
No comments:
Post a Comment