সকালে তাজা অনুভব করার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল দাঁত ব্রাশ করা। সাধারণত আমরা বাজার থেকে আনা টুথপেস্ট ব্যবহার করে থাকি দাঁত ব্রাশ করতে। কারণ আমরা প্রত্যেকেই চাই যেন আমাদের দাঁত দুধের মত সাদা হয়। তবে দাঁত ও মাড়ি মজবুত করতে তেল ও লবণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে দাঁত যেখানে দুধের মতো চকচকে হয়, অন্যদিকে পায়েরিয়ার মতো রোগও ধারে কাছে আসে না। চলুন জেনে নেই বিস্তারিত-
লবণ এবং সর্ষের তেলের উপকারীতা:
আয়ুর্বেদিক ওষুধে, দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য লবণ এবং সর্ষের তেল ব্যবহার করা হয়েছে। এ দুটিই দাঁতের ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এটি একটি ঘরোয়া প্রতিকার হিসাবেও দেখা হয়।
ব্যবহার পদ্ধতি :
কিছুটা তেল নিয়ে এতে এক চিমটি লবণ দিন। চাইলে রক সল্টও ব্যবহার করা যেতে পারে। অন্যদিকে সাধারণ লবণকে আয়োডিনমুক্ত করতে দু থেকে তিন ঘণ্টা রোদে রাখুন। এতে সামান্য হলুদও মেশাতে পারেন।
এর পরে, মিশ্রণটি তর্জনীতে নিয়ে ধীরে ধীরে দাঁতে ম্যাসাজ করুন। অন্তত দু মিনিট ম্যাসাজ করার পর কিছুক্ষণ মুখ বন্ধ করে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটা নিয়মিত করলে খুব উপকার পাওয়া যায়।
দাঁত থেকে প্লাক এবং দাগ দূর করে:
লবণ ও তেল দাঁতের প্লাক ও দাঁতের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া মুখের পিএইচ মান অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। এটি ভারসাম্যও বজায় রাখে। এটি মুখের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়। এতে মুখে পচন ধরে না।
অ্যান্টিসেপটিক গুণে সমৃদ্ধ:
লবণে বেশি ফ্লোরাইড থাকার কারণে এটি দাঁত মজবুত করতে এবং গহ্বর দূর করতে কাজ করে। এছাড়া এ দুটিতে অ্যান্টিসেপটিক গুণাগুণ পাওয়া যায়, যার কারণে মুখের যেকোনও ধরনের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে। এটি মাড়িকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। মাড়িতে তেল মালিশ করলে তা রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং ফোলাভাবও কমায়।
No comments:
Post a Comment