রহস্যময় কুন্ড! দেশে কোনো বিপদ আসলে আগাম ইঙ্গিত দেয় এই কুন্ড - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 17 April 2023

রহস্যময় কুন্ড! দেশে কোনো বিপদ আসলে আগাম ইঙ্গিত দেয় এই কুন্ড

 






এদেশ এমন একটি দেশ যেখানে অনেক ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় স্থান রয়েছে।  এছাড়াও আমাদের দেশে  অনেক অলৌকিক এবং রহস্যময় স্থান রয়েছে, যার সঙ্গে জড়িত বহু রহস্য নিজের দিকে আকৃষ্ট করে।আজকে আমরা এরকমই রহস্যময় ভীমকুন্ড সম্পর্কে জেনে নেব-

  দেশের হৃদয় বলা হয় মধ্যপ্রদেশকে এবং এখানে দেখার জন্য একাধিক স্থান রয়েছে। এখানে এমন একটি পুল আছে যার রহস্য আজ পর্যন্ত কেউ উদ্ধার করতে পারেনি।

এমনকি এই কুন্ডে কোথা থেকে জল আসে এবং এর গভীরতা কতটা কেউ জানে না।  এই জায়গাটি হল মধ্যপ্রদেশের ছাতারপুর জেলায় অবস্থিত ভীমকুন্ড, যার সঙ্গে অনেক গল্প জড়িয়ে আছে।

ছাতরপুরের এই ভীমকুণ্ডের সঙ্গে যুক্ত কিংবদন্তি মহাভারত যুগের ইতিহাস।  কথিত আছে যে পাণ্ডবরা যখন তাদের বনবাসের মধ্যে ছিল, তখন তারা একটি বনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল এবং এই সময়ে দ্রৌপদী তৃষ্ণার্ত অনুভব করেন।  পাঁচ ভাই জলের জন্য চারিদিকে খুঁজলেও জলের উৎস খুঁজে পান না।

এর পরে, ধর্মরাজ যুধিষ্ঠির তার ভাই নকুলকে মনে করিয়ে দেন। কিংবদন্তি অনুসারে, দ্রৌপদী যখন তৃষ্ণায় অস্থির ছিলেন, তখন ভীম তার গদা তুলে নকুলের নির্দেশিত স্থানে প্রচণ্ড আঘাত করেন।  আর তারপরই তার গদার আঘাতে মাটিতে গভীর গর্ত হয়ে জল বের হতে থাকে।

এই জলের দূরত্ব এখনও ভূমি পৃষ্ঠের ৩০ ফুট নীচে ছিল, তাই যুধিষ্ঠির অর্জুনকে তার তীরন্দাজের মাধ্যমে সিঁড়ি তৈরি করতে বলেছিলেন।  অর্জুন তার ধনুক থেকে তীর নিক্ষেপ করে জলের উৎসের সিঁড়ি তৈরি করলেন।  এর পর দ্রৌপদীর তৃষ্ণা নিবারণ করা যায় এবং ভীমের গদা থেকে তৈরি হওয়ায় কারণে নামকরণ করা হয় ভীমকুন্ড।

ভীমকুন্ডের সঙ্গে জড়িয়ে অনেক বিশ্বাস , যার মধ্যে একটি হল এটি একটি নীরব আগ্নেয়গিরি।  এখন পর্যন্ত ভূতাত্ত্বিক ও ডুবুরিরা এর গভীরতা সম্পর্কে জানার জন্য অনেক প্রচেষ্টা করেছেন কিন্তু সব প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে।

এই কুণ্ডের জল একেবারে নীল এবং পরিষ্কার। তথ্য অনুযায়ী, ডুবুরিরা এখনও পর্যন্ত মাত্র ৩৭০ মিটার ভিতরে যেতে পেরেছেন।

তথ্যমতে, এই কুণ্ডের গভীরে দুটি বড় কূপের মতো গর্ত রয়েছে, একটিতে জল খুব দ্রুত আসে এবং অন্যটি থেকে ফিরে যায়।  এটাও দাবি করা হয় যে এটি সরাসরি সমুদ্রের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং যখনই সুনামি হয়, তখনই এখানে অনেজ  ঢেউ দেখা যায়।

এক জার্মান ডুবুরি এই পুল সম্পর্কে দাবি করেছিলেন যে তিনি আড়াই ফুট গভীরে কিছু অনন্য প্রাণী এবং পথ দেখেছেন।  তবে এর কোনও শক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

ভীমকুন্ড একটি গুহায় রয়েছে, এর ঠিক ওপর দিয়ে সূর্যের রশ্মি ভেতরে প্রবেশ করে এবং কুন্ডের জলে রংধনুর রঙ দেখা যায়।  কীভাবে তা সম্ভব এটাও জানা যায়নি আজ অবধি।

কুণ্ড সম্পর্কে একটি বিশ্বাস যে এখানে স্নান করলে গুরুতর থেকে গুরুতর চর্মরোগ সেরে যায়।  এ ছাড়া কেউ যতই তৃষ্ণার্ত হোক না কেন, এই কুন্ডের তিন ফোঁটা জল পান করলেও তার তৃষ্ণা মিটে যায়।  এমনও বলা হয় যে, দেশে বড় কোনও সংকট আসার আগে , এর মধ্যে জলস্তর বাড়তে থাকে, অর্থাৎ দুর্যোগ আসার আগেই কুণ্ড তার ইঙ্গিত দেয়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad