শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে গোটা রাজ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে সিবিআই ও ইডি। তদন্তে অনেক বড় নাম সামনে আসছে। অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আরও একটি দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে এবং তিনি আর কেউ নন, একজন শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক। বার লাইসেন্স দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগে সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার স্তরের অফিসার সোমনাথ ভট্টাচার্যকে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সোমনাথ ভট্টাচার্য কলকাতা পুলিশ ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন। বার লাইসেন্স পাইয়ে দিতে সোমনাথ এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোটা টাকার ঘুষ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু বহু দিন অতিবাহিত হলেও সেই লাইসেন্সের ব্যবস্থা করেননি তিনি। টাকা ফেরত দেননি।
সিনিয়র পুলিশ অফিসার সোমনাথ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বরাহনগর থানায় দ্বারস্থ হন এক ব্যবসায়ী। তিনি সোমনাথের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন। প্রথমে বরাহনগর থানা গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও পরে তদন্ত চলে যায় ব্যারাকপুর গোয়েন্দা বিভাগের হাতে। সোমবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। সম্প্রতি দ্বিতীয় নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন পূর্ব মেদিনীপুরের এক শিক্ষক। কাঁথিতে বেকার যুবকদের সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীপক জানা নামে এক শিক্ষক মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। চাকরি দেওয়ার ভান করে তার বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে।
এরই মধ্যে কলকাতা পুলিশ প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের পর পুলিশ মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন বৃত্তে ক্রমাগত দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। পুরসভায় চাকরি দিতে গিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ করল সিবিআই। এর আগে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এখন পুলিশের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠার পর রাজ্য সরকারকে নিশানা করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করেছে যে পুলিশ পুরোপুরি তৃণমূল কর্মী হয়ে উঠেছে এবং তৃণমূল ক্যাডারদের মতো আচরণ করছে।
No comments:
Post a Comment