গর্ভাবস্থায় স্তন ক্যান্সার কি শিশুর ওপরেও প্রভাব ফেলে? জেনে নিন বিশদে - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday 6 April 2023

গর্ভাবস্থায় স্তন ক্যান্সার কি শিশুর ওপরেও প্রভাব ফেলে? জেনে নিন বিশদে


গর্ভাবস্থায় স্তন ক্যান্সার একজন মায়ের জন্য খুবই দুঃখজনক অভিজ্ঞতা। এই সময়ে স্তন ক্যান্সার একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা ৩০০০ গর্ভবতী মহিলার মধ্যে ১ জনের হতে পারে। এছাড়াও, গর্ভাবস্থায় এটি শনাক্ত করা কিছুটা কঠিন। কারণ একজন মহিলা যিনি মা হতে চলেছেন, তার স্তনে অনেক পরিবর্তন দেখা যায়। এই কারণেই বেশিরভাগ স্তন ক্যান্সার অ্যাডভান্স পর্যায়ে শনাক্ত হয়।

আজকাল ডাক্তাররা গর্ভাবস্থায় স্তন পরীক্ষা করাতে জোর দিয়ে থাকেন। এটি তারা স্বাভাবিক চেক-আপের অংশ হিসাবে বিবেচনা করেন। যদিও আজকের আধুনিক যুগে ওষুধ ও প্রযুক্তি এতটাই এগিয়েছে যে ক্যান্সারের চিকিৎসা সম্ভব, কিন্তু গর্ভাবস্থায় এর উপস্থিতি ঝুঁকি বাড়ায়।  এছাড়াও মা ও শিশু উভয়কেই সুস্থ রাখা চিকিৎসকদের জন্য চ্যালেঞ্জের চেয়ে কম নয়।

ক্যান্সার কি গর্ভস্থ শিশুকে প্রভাবিত করে?  

যখন ক্যান্সার নির্ণয় হয়, তখন শিশুর নিরাপত্তা সবার আগে মাথায় আসে। তবে এটি শিশুর উপর তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলে না। যদি ক্যান্সার কোষগুলি প্ল্যাসেন্টার মধ্য দিয়ে যায়, তবে তারা শিশুর বিকাশকারী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যদিও এটি খুব বিরল ক্ষেত্রে ঘটেছে যে ক্যান্সার কোষগুলি মা থেকে সন্তানের মধ্যে চলে গেছে, তবে অনেক ধরণের গবেষণা এটি বিশ্বাস করে না। অন্যদিকে মায়ের চিকিৎসা পদ্ধতি সন্তানের জন্য বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে।  কেমোথেরাপি এবং রেডিয়েশন শিশুকে খারাপভাবে প্রভাবিত করে, তাই ডাক্তাররা প্রসব পর্যন্ত চিকিৎসা বন্ধ করে দেন।

গর্ভাবস্থায় কি কেমোথেরাপি নিরাপদ?  

কিছু কেমোথেরাপির ওষুধ গর্ভাবস্থায় নিরাপদ বলে মনে করা হয়। তবে গর্ভাবস্থার প্রথম তিনমাস কেমোথেরাপি এড়ানো উচিৎ। কারণ এটি অনাগত শিশুর বিকাশকে প্রভাবিত করে এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।  গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ত্রৈমাসিকে কেমোথেরাপি সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে মনে করা হয়। এতে শুধুমাত্র শিশুর ওজন এবং অকাল জন্মের ঝুঁকি থাকে।  কোনও প্রকারের জটিলতা এড়াতে ডাক্তাররা প্রসবের তিন বা চার সপ্তাহ আগে কেমোথেরাপি সেশন বন্ধ করে দেন।

শিশুকে কি বুকের দুধ খাওয়ানো উচিৎ?  

কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি ছাড়া ক্যান্সার নির্মূল করার জন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলে এই ক্ষেত্রে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো যেতে পারে। কিন্তু  কেমোথেরাপি এবং  রেডিওথেরাপিতে ব্যবহৃত ওষুধগুলি বুকের দুধকেও প্রভাবিত করে যা শিশুর জন্য ক্ষতিকর। যদি স্তন ক্যান্সারের সঠিক চিকিৎসা করা হয়, তাহলে এটি শরীরে এবং জন্ম নেওয়া শিশুর উপর খারাপ প্রভাব ফেলে না। এমন অনেক ঘটনা রয়েছে যেখানে নারীরা স্তন ক্যান্সারকে পরাজিত করে সম্পূর্ণ নিরাপদ উপায়ে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।  এমতাবস্থায় পরিবারের সহযোগিতা এবং ভালো ডাক্তারের চিকিৎসা সবকিছু সহজ করে দেয়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad