বস্তা-বন্দি এটিএম কার্ড উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday 13 April 2023

বস্তা-বন্দি এটিএম কার্ড উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য


মালদা: বিপুল পরিমাণে এটিএম কার্ড উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে মালদার রতুয়া দুই নম্বর ব্লকের মহারাজপুর এলাকায়। পরিত্যক্ত পুকুরের পাড় থেকে প্রায় এক বস্তা এটিএম কার্ড উদ্ধার হয়েছে এমনই দাবী স্থানীয়দের। এই এত পরিমাণ এটিএম কার্ড কীভাবে এলাকায় পৌঁছল, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হলেন স্থানীয়রা। 


মালদার রতুয়া ২ ব্লকের অন্তর্গত মহারাজপুর এলাকায় রয়েছে বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের একটি শাখা। এই ব্যাংকের শাখার ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এই বস্তা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের মতে এই এটিএম কার্ডগুলোর এখনও বাতিল হওয়ার সময়সীমা বাকি রয়েছে। গ্রাহকদের নামে তৈরি হওয়া এই এটিএম কার্ড কি করে ফেলে দেওয়া হল? সে নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন গ্রামবাসীরা। 


স্থানীয় এক বাসিন্দা রামজান ওরফে বাবুল, পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রি, বলেন, "বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে আটটা নাগাদ স্থানীয় একটি হাই স্কুলের পেছনের গর্তে বস্তাবন্দি এই এটিএমগুলো পড়ে ছিল। ছোট ছোট বাচ্চারা সেখানে বোতল কুড়োতে গিয়ে দেখতে পায়। আমার বাবার নামের এটিএম নিয়ে তারা এদিন আসে, আমি যদিও জানি না এটা আমার বাবার কি না! তারাই জানায় এক বস্তা এটিএম কার্ড পেয়েছে।"


তাঁর কথায়, "এই এটিএমের ভ্যালিডিটি এখনও রয়েছে, তাহলে গ্ৰাহকদের কাছে কেন পৌঁছাল না? এছাড়াও এর সঙ্গে পিনকোডও আসে, সেটাই বা কে খুলল এবং কেনই বা এগুলো বাইরে ফেলল?" তাঁর প্রশ্ন। 


তার অভিযোগ, এটিএমের আবেদন না করা সত্ত্বেও তার বাবার নামে এটিএম ইস্যু হয়েছে। তিনি প্রশ্ন করেন, 'কেন এমন হবে?' তিনি বলেন, 'আমি চাই এর তদন্ত হোক যে, আসল ঘটনাটা কি? এর সঙ্গে ব্যাঙ্কের স্টাফ বা কোনও কর্মী বা কোনও রাজনৈতিক বিষয় এর সঙ্গে যুক্ত কি না, সেটা আমরা দেখতে চাই।'


অপরদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে বঙ্গীয় গ্রামীন বিকাশ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এই এটিএম কার্ড থেকে কোন গ্রাহকের ক্ষতি হবে না। ব্যাঙ্ক আধিকারিকরা বলেন, "এটিএমগুলো ইতিমধ্যেই রিজেক্টেড হয়ে গিয়েছে। যেহেতু সিস্টেম থেকে জেনারেট হচ্ছে না, অর্থাৎ এটিএম ইস্যু বন্ধ আছে, তাই সেগুলো বস্তাবন্দি ছিল। হয়তো কোনও বাচ্চার হাতে পড়ে গেছে।" তারা জানান, ঐ এটিএম থেকে কোনও কাজই হবে না। কারও হাতে গেলেও ওটা দিয়ে কিছুই হবে না। তবুও এটিএম উদ্ধারের এই ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, বলেই জানায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad