দলীয় নেতৃত্বের একাংশের ওপর ক্ষুব্ধ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! সূত্রে দাবী

 

দলীয় নেতৃত্বের একাংশের ওপর ক্ষুব্ধ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! সূত্রে দাবী

নিজস্ব প্রতিবেদন, ৩১ ডিসেম্বর, কলকাতা : তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলীয় নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।  প্রতিবেদন অনুসারে, তিনি বিশ্বাস করেন যে বকেয়া আদায়ের জন্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তিনি যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন তা লাইনচ্যুত হয়েছে।  দুর্গাপুজোর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই আন্দোলনকে হাওয়া দিতে  রাস্তায় নেমেছিলেন।  পরিকল্পনা ছিল পুজোর পর আন্দোলন আরও বাড়ানো হবে।  তবে, এমনটি হল না। আন্দোলন কার্যত মাটি চাপা পড়েছে।

 দুর্গাপূজার পর, অভিষেক কেন্দ্র থেকে বকেয়া আদায়ের আন্দোলন জোরদার করার ঘোষণা দিলেও নেতারা তৃণমূল পর্যায়ে আন্দোলনকে এগিয়ে নেননি।  এ জন্য তারা কোনও কর্মসূচি পাননি।  বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবী করা হয়েছে যে অভিষেক দলের একদল নেতার এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ।  তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে দাবী করা হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের নির্বাচনী এলাকায় নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতে চান।  বাংলার বাকি ৪১টি আসন নিয়ে চিন্তা করতে রাজি নন তিনি।

 প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লীতে গিয়ে এই আন্দোলনের আয়োজন করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।  কলকাতায় ফিরেও এ নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেন তিনি।  বলা হচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অসন্তুষ্ট।

 দাবী করা হচ্ছে, প্রতিবাদ জানাতে নভেম্বরে আবার দিল্লী যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন অভিষেক।  কেন্দ্র দাবী না মানলে বাংলায় ফিরে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াবেন বলেও পরিকল্পনা করেছিলেন।  পরিবর্তে, ২০ ডিসেম্বর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে দেখা করেছিলেন।  এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন অভিষেকও।

এদিকে, প্রতিবেদনে দাবী করা হয়েছে যে অভিষেক শুধু দলের নেতাদের ওপরই নয়, রাজ্য প্রশাসনের কাজকর্ম নিয়েও ক্ষুব্ধ।  লক্ষণীয় যে তিনি সেখানে গিয়ে ধূপগুড়িকে উপ-বিভক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।  তিনি জানান, এ বছরই ধূপগুড়িকে উপ-ভাগ করা হবে।  কিন্তু বছর শেষ হয়ে গেলেও অভিষেকের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি।  ধূপগুড়ি মহকুমা প্রশাসনের শৈথিল্যের কারণে করা সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ।

 এই সবের মধ্যেই শনিবার কালীঘাট অফিসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন কুণাল ঘোষ, পার্থ ভৌমিক, নারায়ণ গোস্বামী, ব্রাত্য বসু এবং তাপস রায়।  জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের দলের দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।  কিন্তু সেখানেই অভিষেক জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনে তিনি ডায়মন্ড হারবারেই থাকবেন।