নতুন আতঙ্ক 'মাঙ্কি ফিভার'! আক্রান্ত ৩১, জেনে নিন এই রোগের কারণ ও উপসর্গ
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৩ ফেব্রুয়ারি: চিন্তার যেন অন্ত নেই। করোনা সংক্রমণ কিছুটা থিতো হতেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মাঙ্কি ফিভার। গত ১৫ দিনে কর্ণাটকের উত্তর কন্নড় জেলায় 'মাঙ্কি ফিভার'-এর ৩১ জন আক্রান্তের খবর মিলেছে। সবার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সিদ্দাপুর তালুক থেকে সংক্রমণের খবর মিলেছে। শুক্রবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা এই তথ্য জানিয়েছেন।
আধিকারিকদের মতে, ১৯ জন সংক্রামিত ব্যক্তির বাড়িতে চিকিত্সা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনও গুরুতর ঘটনা প্রকাশ্যে আসেনি। কায়াসানুর ফরেস্ট ডিজিজ (কেএফডি) এর প্রথম সংক্রমণ, যা 'মাঙ্কি ফিভার' নামেও পরিচিত, ১৬ জানুয়ারি রিপোর্ট করা হয়েছিল। মাঙ্কি ফিভার; এটি টিক্সের কামড়ে ছড়িয়ে পড়ে, যা সাধারণত বানরদের ওপর বেঁচে থাকে। মাঙ্কি ফিভার একটি ভাইরাল হেমোরেজিক ফিভার। এই টিক (এক ধরণের পোকা) মানুষকে কামড়ায়, সংক্রমণ ঘটায়। টিক কামড়ানো গবাদি পশুর সংস্পর্শে এসে মানুষও এই রোগে আক্রান্ত হয়।
আধিকারিকরা ঘরে ঘরে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছেন। বনাঞ্চলে এবং এর আশেপাশে বসবাসকারী লোকদের আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, কারণ তারা এই রোগের ঝুঁকিতে বেশি। উত্তরা কন্নড় জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ নীরজ বি বলেছেন, একবার 'মাঙ্কি ফিভার'' হলে, পরবর্তী তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে লক্ষণগুলি দেখা দেবে। এই লক্ষণগুলো হতে পারে বেশিমাত্রায় জ্বর, প্রচণ্ড শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, সর্দি-কাশি।
ডা. নীরজ বি জানান, 'শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় মাঙ্কি ফিভারে আক্রান্ত ৩১ জন রয়েছে। সব ধরনের সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। আমাদের মেডিক্যাল অফিসার এবং কর্মীরা গ্রামসভা এবং গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে একাধিক মিটিং করেছেন। আমাদের সমস্ত তালুক এবং জেলা হাসপাতালগুলি এই ধরনের মামলাগুলি মোকাবেলা করার জন্য কর্মী এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সজ্জিত।'
No comments:
Post a Comment