কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদ! দলনেত্রীর ডাকে ধর্না মঞ্চে যোগ দিচ্ছে কাশিমপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস
উত্তর ২৪ পরগনা: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে দলনেত্রীর ডাকে ধর্না মঞ্চে যোগ দিতে গেল কাশিমপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না। এর পাশাপাশি জিএসটির কয়েক লক্ষ টাকা বাকি বলেই অভিযোগ। সেই টাকা আদায়ের জন্য কয়েক মাস আগে দিল্লীতে ধরনা দিয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি রাজভবনের সামনেও তিনি ধর্নায় বসেন। এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের বরাদ্দ টাকা সহ কেন্দ্র সরকার যে টাকা আটকে রেখেছে, সেই টাকা আদায়ের দাবীতে একটানা ১২ দিন রেড রোডে ধর্না দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক সংগঠন সেই ধর্নায় যোগ দেবে। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে বঞ্চনার প্রতিবাদ নিয়ে আমডাঙা বিধানসভার অন্তর্গত কাশিমপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে ধর্নায় যোগ দিতে যাওয়া হয়।
এই বিষয়ে কাশিমপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অমল কুমার বিষ্ণু বলেন, 'আজকে আমরা রেড রোডে যাচ্ছি নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে। কেন্দ্রের যে বঞ্চনা আমাদের রাজ্যের প্রতি; বকেয়া থেকে শুরু করে, আমাদের আবাস যোজনার টাকা, একশো দিনের টাকা কোনওটাই দিচ্ছে না, জোরজবরদস্তি আটকে রাখছে তারা। তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে আমাদের দল এবং আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগেও দিল্লীতে ধর্না দিয়েছিলেন এবং সেই বকেয়াদায় দাবীতে গতকাল থেকে অর্থাৎ ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত ধর্না চলবে। আজ আমরা আমডাঙা বিধানসভার কাশিমপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিভিন্ন নেতৃত্ব, পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে রেড রোডে দিদির সেই ধর্না মঞ্চে সামিল হতে যাচ্ছি।'
তিনি আরও বলেন, "আমরা এই রাজ্যের শাসক দল। সারা ভারতবর্ষে বিজেপি যেভাবে ইডি-সিবিআইকে ব্যবহার করে বিরোধী কণ্ঠস্বর রোধ করতে চাইছে তার বিরুদ্ধে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,
মুখ্যমন্ত্রী আমাদের একমাত্র সোচ্চার আছেন। কণ্ঠস্বর রোধ করতেই তারা (বিজেপি) ইডি-সিবিআই থেকে শুরু করে, এছাড়াও বিগত ছয় বছর থেকে আমাদের রাজ্যে আবাস যোজনার কোনও ঘর নেই, প্রায় তিন বছর থেকে একশো দিনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং বকেয়া যে অর্থ প্রদান করছে না, তার বিরুদ্ধে এবং এক লক্ষ কোটি টাকার উপরে আমাদের জিএসটি পাওনা আছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সেটাও দিচ্ছে না।"
তিনি বলেন, "তাদের মূল উদ্দেশ্য, পশ্চিম বাংলার উন্নয়ন যেকোনও ভাবে স্তব্ধ করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের গতিকে তারা কোনভাবেই রুখতে পারছে না, তারজন্য বিভিন্ন ভাবে কৌশল করে, ইডি-সিবিআই পাঠিয়ে নানা রকম রিপোর্ট করছে। কোনও টারই কোনও কমিশনের রেজাল্ট বেরোচ্ছে না এবং গায়ের জোরে যা খুশি তাই করছে।"
তিনি আরও বলেন, 'সামনেই লোকসভা নির্বাচন, আগামী দিনেও ইডি-সিবিআই আমাদের রাজ্যে এসে পড়বে। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে ইতিমধ্যেই ইডি গ্ৰেফতার করেছে। শুধু একমাত্র লোকসভা ভোটকে মাথায় রেখেই এরা পশ্চিমবাংলা-সহ সারা ভারতবর্ষে এটা করছে।'
'পশ্চিমবাংলার মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসপন্থী মানুষ। এরা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে আছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বাস করেন, তাঁর প্রতি আস্থা আছে এবং লোকসভা ভোটে ভোট দেবে', তার সংযোজন।
No comments:
Post a Comment