'সুখে-দুঃখে না থাকলে কিসের সমাজ!' মাতৃবিয়োগের খবর শুনেই কংগ্রেস নেতার বাড়িতে দিলীপ ঘোষ
পশ্চিম বর্ধমান: নির্বাচনের আবহে একদিকে যখন বঙ্গ রাজনীতিতে কুকথার স্রোত, সেখানে সৌজন্যের নজির গড়লেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। বিতর্কিত মন্তব্য করে বার বার শিরোনামে উঠে আসেন, কড়া ভাষায় চাঁচাছোলা আক্রমণ করেন, বিরোধী পক্ষকে আক্রমণের সময় কোনও রেয়াত করেন না, এমনই স্বভাব দিলীপ ঘোষের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তাঁর একটি মন্তব্য প্রসঙ্গে তাঁকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে কমিশন। আর সেই মানুষটিই ছুটে গেলেন কংগ্রেস নেতার বাড়িতে। মাতৃবিয়োগের দুঃখে কংগ্রেস নেতার পাশে দাঁড়ালেন তিনি। বাংলায় থাকুক এই সৌজন্যের রাজনীতি, এই বার্তাই দিলেন বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।
পশ্চিম বর্ধমান জেলা কংগ্রেসের সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তীর মা রাধারানী চক্রবর্তী প্রয়াত হন গত মঙ্গলবার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। পশ্চিম বর্ধমান জেলা কংগ্রেস সভাপতির মাতৃবিয়োগের খবর পেয়ে তাঁকে সমবেদনা জানাতে তাঁর দুর্গাপুরের সেপকো টাউনশিপের বাড়িতে যান তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। এরপর বুধবার সকালেই কংগ্রেস নেতার বাড়িতে পৌঁছে যান বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। তাঁর পাশে থাকার বার্তা দেন। লোকসভা নির্বাচনের আবহে শিল্পাঞ্চল মুগ্ধ এই সৌজন্যের রাজনীতি দেখে।
দেবেশ চক্রবর্তীর বাড়িতে কিছুক্ষণ ছিলেন দিলীপ ঘোষ। তার পরিবারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তাঁর সঙ্গে কথা হয় অনেকক্ষণ, চা খান। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "দিলীপ ঘোষ সৌজন্যটাকে ধরে রেখেছে। দেবেশ চক্রবর্তী একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হতে পারেন কিন্তু তিনি এলাকার একজন সমাজসেবী। তাঁর মাতৃ বিয়োগের খবর পেয়ে বাড়িতে পৌঁছেছি, পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছি। খড়গপুরের তৃণমূলের চেয়ারম্যানের মাতৃবিয়োগের সময়ও ওঁর বাড়িতে গিয়েছিলাম। এটা হওয়া উচিৎ। সমাজে আছি, সুখে-দুঃখে না থাকলে কিসের সমাজ!"
এই প্রসঙ্গে দেবেশ চক্রবর্তী বলেন, 'তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর মতো বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষও তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন। তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।' মায়ের শ্রাদ্ধের দিন আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলেও জানান কংগ্রেস সভাপতি।
No comments:
Post a Comment