'ক্ষমতায় এলে অগ্নিবীর প্রকল্প ছিঁড়ে ডাস্টবিনে ফেলব', হুঙ্কার রাহুলের - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday 23 May 2024

'ক্ষমতায় এলে অগ্নিবীর প্রকল্প ছিঁড়ে ডাস্টবিনে ফেলব', হুঙ্কার রাহুলের


'ক্ষমতায় এলে অগ্নিবীর প্রকল্প ছিঁড়ে ডাস্টবিনে ফেলব', হুঙ্কার রাহুলের



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৩ মে: লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-এর ষষ্ঠ দফায় ভোট গ্ৰহণ হবে দিল্লীতে। এজন্য বিরোধী জোট ইন্ডিয়া (I.N.D.I.A) তার পূর্ণ শক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছে। এই ধারাবাহিকতায়, কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী বৃহস্পতিবার (২৩ মে ২০২৪) দিলশাদ গার্ডেনে উত্তর পূর্ব দিল্লী লোকসভা আসন থেকে কংগ্রেস প্রার্থী কানহাইয়া কুমারের জন্য একটি জনসভা করেন। এই জনসভায় তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র আক্রমণ করেন।


রাহুল গান্ধী বলেন, 'এই নির্বাচনে লড়াই সংবিধান বাঁচানোর। ভারতের কোটি কোটি মানুষ দাঁড়িয়ে আছে, কংগ্রেস পার্টি দাঁড়িয়ে আছে, আপনি যদি সংবিধান পরিবর্তন করার চেষ্টাও করেন, তাহলে দেখুন কী হয়।' এর পরে রাহুল গান্ধী বলেন যে, "কানহাইয়ার কৃষকদের বোঝার এবং আন্তর্জাতিক বিষয়গুলিও বোঝার ক্ষমতা রয়েছে। কানহাইয়া যদি আমাকে বলে যে আমি বায়োলজিক্যাল নই, আমাকে পরমাত্মা পাঠিয়েছেন, তাহলে আমি বলব ভাই, এই কথা বাইরে বলবেন না, কিন্তু মোদীজি বলেন, 'আমি বায়োলজিক্যাল নই, আমাকে পরমাত্মা পাঠিয়েছেন'। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া কোনও ব্যক্তি এ কথা বললে আমরা বলব আপনি যান আপনার কাজ করুন এবং আমাদের নিজেদের কাজ করতে দিন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এমন কথায় সাধুবাদ জানান সাঙ্গোপাঙ্গোরা। দেশে যখন করোনায় মানুষ মারা যাচ্ছিল, তখন ইনি থালা বাজাতে আর টর্চ জ্বালতে বলছিলেন।"


রাহুল গান্ধী আরও বলেন, পরমাত্মা যাকে পাঠিয়েছেন তিনি কেবল ২২ জনের জন্য কাজ করেন। গরীব জনতা ২৪ ঘন্টা হাত জোড় করে ঋণ মুকুব ও শিক্ষার দাবী করেন, নরেন্দ্র মোদী দেখতে থাকেন। তিনি শুধুমাত্র আম্বানি এবং আদানিদের জন্য পরিকল্পনা নিয়ে আসেন। শুধু শিল্পপতিদের ঋণ মুকুফ করা হয়।'


অগ্নিবীর প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে রাহুল বলেন যে, 'এটি সেনাদের বিরুদ্ধে। আমরা জিতলে সেটা ছিঁড়ে ডাস্টবিনে ফেলব। প্রথম কাজ, আমরা এটি শেষ করতে যাচ্ছি. এটা নরেন্দ্র মোদীজি এনেছেন, সেনা নয়। তাই আমরা এটি শেষ করব।'


কংগ্রেসের মহালক্ষ্মী যোজনার কথা উল্লেখ করে রাহুল গান্ধী বলেন যে, "৪ জুনের পরে যখন ইন্ডিয়া জোটের সরকার গঠন হবে, তখন দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকা সমস্ত পরিবারের একটি তালিকা তৈরি করা হবে। কোটি মানুষের নাম আসবে, তারপর প্রতিটি পরিবার থেকে একজন করে মহিলা নির্বাচন করব। এর পরে, ৪ জুলাই এই পরিবারের মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ৮৫০০ টাকা ট্রান্সফার হয়ে যাবে। এ ধারা আগেও অব্যাহত থাকবে। আমরা প্রতি মাসে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ৮৫০০ টাকা পাঠাতে থাকব।"

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad