প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৫ জানুয়ারি: আমাদের খাদ্যাভ্যাস খুবই খারাপ হয়ে গেছে।আমরা যা খাই তাতেই কিছু না কিছু বিষাক্ত পদার্থ থাকে,যা আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।প্রক্রিয়াজাত খাবার,জাঙ্ক ফুড,অতিরিক্ত সিগারেট বা অ্যালকোহল পান আমাদের হজমশক্তি নষ্ট করে।খাবারে অতিরিক্ত বার্গার,পিৎজা ও মেয়োনিজ খাওয়ার ফলে এই খাবারগুলি অন্ত্রে আটকে যায় এবং খাবার সঠিকভাবে হজম হয় না।এই নিম্নমানের খাদ্যাভ্যাসগুলি আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে এমন ব্যাকটেরিয়ার জন্য খুবই উর্বর ভূমি। এই খাবারগুলি আমাদের অন্ত্রে উপস্থিত ভালো ব্যাকটেরিয়া নষ্ট করে এবং আমাদের হজমশক্তি খারাপ হতে শুরু করে।
কিছু মানুষ গ্যাস এবং অ্যাসিডিটির কারণে খুব সমস্যায় পড়েন।গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এই লোকেরা সকালে খালি পেটে গ্যাসের ওষুধ খান এবং সারা দিন খাবার হজম করার জন্য ঘরোয়া ওষুধ ব্যবহার করতে থাকেন।গ্যাসের সমস্যা কিছু মানুষকে নির্দিষ্ট সময়ে বেশি কষ্ট দেয়।কিছু মানুষের সন্ধ্যায় বেশি গ্যাস হয়।
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ নিত্যানন্দম শ্রী বলেন,সন্ধ্যায় পেটে গ্যাস তৈরির কারণ হল খারাপ খাদ্যাভ্যাস এবং অবনতিশীল জীবনধারা।যদি আপনি খুব বেশি চা পান করেন,খুব বেশি খাবার খান অথবা আপনার হাঁটার ধরণ ঠিক না থাকে,তাহলে অবশ্যই আপনার পেটে গ্যাস তৈরি হবে।কিছু লোককে গ্যাসের কারণে খুব বিব্রত বোধ করতে হয়।এমন পরিস্থিতিতে যদি আপনি কিছু বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করেন,তাহলে আপনি চিরতরে গ্যাসের ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেবেন এবং গ্যাসের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন।আসুন জেনে নেই সন্ধ্যায় পেটে গ্যাস তৈরির কারণ কী এবং কীভাবে তা থেকে মুক্তি পাবেন।
যদি সন্ধ্যায় পেটে বেশি গ্যাস হয় তাহলে দিনের বেলায় চা-কফি পান করা কমিয়ে দিন।এগুলিতে পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হয়।
কিছু লোকের দৌড়ানো এবং তীব্র ব্যায়াম করার কারণেও পেটে গ্যাস হয়।শরীরকে বিশৃঙ্খল করে এমন ব্যায়াম পেটে গ্যাস সৃষ্টি করে।বাতের রোগীদের হালকা ব্যায়াম করা উচিৎ,জোরে ব্যায়াম তাদের অনেক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
ভুলভাবে জল পান করলেও পেটে গ্যাস হয়।যদি আপনি দ্রুত ঢোক গিলে জল পান করেন তাহলে আপনার পেটে আরও গ্যাস তৈরি হবে।মটরশুঁটি,ছোলার ডাল,রাজমা,ঠাণ্ডা শরবত, ঠাণ্ডা লেবু জল খাওয়ার ও পান করার অভ্যাস অবিলম্বে পরিবর্তন করুন।এই সব জিনিস পেটে দ্রুত গ্যাস তৈরি করে।
বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।
No comments:
Post a Comment