প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৩ জানুয়ারি: সংসারে ঝগড়া-অশান্তি লেগেই থাকত, এর জেরেই স্ত্রীকে নির্মম ভাবে খুন করলেন স্বামী। এখানেই শেষ নয়, খুনের প্রমাণ লোপাট করতে দেহাংশগুলো প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করেন হ্রদে ফেলে দেন তিনি। পৈশাচিক এই ঘটনাটি তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদের। অভিযুক্ত প্রাক্তন সেনা কর্মী। রাঙ্গারেডি জেলার মীরপেটের বাসিন্দা প্রাক্তন ওই সেনা কর্মীর নাম গুরুমূর্তি।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তাঁর স্ত্রী ভেঙ্কট মাধবীকে (৩৫) খুন করে তার দেহ টুকরো টুকরো করে প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে। সেই সঙ্গে জিল্লাগুড়ার চন্দন লেক এলাকায়ও দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফেলে দেওয়া হয়। রাচাকোন্ডা কমিশনারেটের অধীনে মীরপেট থানার এখতিয়ারের অধীনে এই ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার বাবা-মা চলতি মাসের ১৩ তারিখ মীরপেট থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযুক্ত গুরুমূর্তি, প্রকাশম জেলার জেপি চেরুভুর বাসিন্দা, ডিআরডিও-তে আউটসোর্সড সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কাজ করতেন। তিনি তার স্ত্রী ভেঙ্কট মাধবী (৩৫) এবং তাদের দুই সন্তানের সাথে নিউ ভেঙ্কটেশ্বরা নগর কলোনিতে, জিলেলাগুড়াতে থাকতেন।
মামলার তদন্ত শুরু হলে, অভিযুক্ত গুরুমূর্তি ঘটনাটি সম্পর্কে কিছু না জানার ভান করেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার শ্বশুরসহ থানায় যান। কিন্তু তার কথায় অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায় এবং তাঁকে চেপে ধরতেই সামনে আসে হাড়হিম এই ঘটনার কথা। জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে।
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সংসারে ঝগড়া-অশান্তি ও সন্দেহের ভিত্তিতে গুরুমূর্তি তার স্ত্রীকে প্রথমে খুন করে, এরপর দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলে। তারপর প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টায় শরীরের কিছু অংশ প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে। এরপর সেগুলো হ্রদে ফেলে দিয়ে আসে, যাতে মাছ সেই দেহাংশ খেয়ে ফেলে।
অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোপনীয়তা মাথায় রেখে এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে। সাংসারিক অশান্তির কারণেই এই পৈশাচিক কাণ্ড, না কি নেপথ্যে অন্য কারণ? সবদিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
No comments:
Post a Comment