প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৯ জানুয়ারি: প্রায়শই দেখা যায় কোনও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরণের খাবার খাওয়ার পর সেই খাবার হজম হয় না।এরপরে পেটে ব্যথার সাথে সাথে সংক্রমণও দেখা দেয়।ফলে মানুষকে ডাক্তারের কাছে ছুটে যেতে হয়।পেটে কৃমির কারণে ব্যক্তি কোনও ধরণের খাবার হজম করতে অক্ষম হয় এবং তার শরীর দুর্বল থাকে।পেটের রোগ সারাতে মানুষকে ওষুধ ব্যবহার করতে হয়।কিন্তু আমাদের প্রবীণরা পুরনো ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করে এই ছোটখাটো রোগগুলো নিমেষেই সারিয়ে ফেলতেন।এই পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রথমে গাছে জন্মানো জঙ্গলের জিলেবি তুলে বাড়িতে নিয়ে আসতেন এবং প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ গ্রাম জংলি জিলেবি খেতেন।জংলি জিলেবি খাবারের ১ ঘন্টা আগে অথবা খাবারের ১ ঘন্টা পরে খেতে হত।
এই পুরনো ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে আপনিও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।আগের যুগে বিভিন্ন জায়গায় জংলি জিলেবি গাছ সহজেই জন্মাতে দেখা যেত।মানুষ আগে এটিকে সুস্বাদু খাবার হিসেবে খেতে পছন্দ করত।কিন্তু এখন এর প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।যদিও এটি খেলে পেটের অনেক সমস্যার সমাধান হয়।
আনোয়ার আহমেদ জানান যে,জংলি জিলেবি খুবই বিখ্যাত একটি জিনিস।শৈশব থেকে কলেজ জীবন পর্যন্ত তিনি জংলি জিলেবি নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন।কিন্তু এর প্রজাতি এখন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।মাত্র কয়েকটি জায়গায় এই গাছ দেখতে পাওয়া যায়।এটি দুটি রঙে পাওয়া যায়,লাল এবং সবুজ।
আনোয়ার আহমেদ বলেন,২০ থেকে ৩০ গ্রাম জংলি জিলেবির পাল্প খেলে যেকোনও ধরণের পেটের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যাবে।পেটের ময়লার সাথে পুরো সংক্রমণ বেরিয়ে আসবে। এছাড়াও,ভবিষ্যতে আর কখনও পেটের সংক্রমণ হবে না।তবে এটি খাওয়ার সময় একটা জিনিস মনে রাখা উচিৎ যে কোনও খাবারের সাথে এটি মেশাবেন না।
জংলি জিলেবি খাওয়ার ১ ঘন্টা আগে অথবা ১ ঘন্টা পরে খাওয়া উচিৎ।এটি খেলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।কিন্তু এটি আজ প্রায় সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে গেছে।এর গাছ দূর-দূরান্তে কোথাও দেখা যায় না।যদি কেউ এটি খান,তাহলে তিনি সহজেই পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।
No comments:
Post a Comment