কলকাতা, ২০ জুন ২০২৫, ১৩:০৬:০১ : রাজ্য সরকার ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলের গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যারা সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর চাকরি হারিয়েছিলেন। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি করে। কলকাতা হাইকোর্ট এই ভাতা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয়। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত রাজ্য সরকার এই ভাতা দিতে পারবে না। হাইকোর্টের এই অন্তর্বর্তীকালীন সিদ্ধান্ত ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। গত সপ্তাহে সেই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল। সিদ্ধান্তের ঘোষণা স্থগিত করা হয়েছিল।
সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলের প্রায় ২৬,০০০ জন চাকরি হারিয়েছেন। এই ২৬,০০০ জনের মধ্যে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মী রয়েছেন। রাজ্য সেই চাকরিহারা এসএসসি কর্মচারীদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঘোষণা করা হয়েছিল যে গ্রুপ সি কর্মীদের প্রতি মাসে ২৫,০০০ টাকা ভাতা দেওয়া হবে এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের প্রতি মাসে ২০,০০০ টাকা ভাতা দেওয়া হবে। সিদ্ধান্তের ঘোষণা স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট জানিয়েছে যে বিচারপতি অমৃতা সিনহা শুক্রবার সকাল ১০:৩০ টায় রায় ঘোষণা করবেন।
মামলাকারীর আইনজীবী গোপা বিশ্বাস বলেছেন যে রাজ্য সরকারের এই ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পরিপন্থী। মামলার শুনানির সময় বিচারপতি অমৃতা সিনহা ভাতার পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বলেন, "কেন ২৫ হাজার এবং ২০ হাজার টাকা? কোন ভিত্তিতে এই পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছিল?" তিনি রাজ্য সরকারকে প্রশ্ন তোলেন যে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পরে কোনও আলোচনা বা তদন্ত ছাড়াই কেন তাড়াহুড়ো করে এই ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল? রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত পাল্টা মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বাদীর আইনজীবী যুক্তি দেন, "রাজ্য সরকার কে মামলা দায়ের করবে তা নির্ধারণ করতে পারে না।"
এর আগেও গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মচারীদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এই মামলাটি অপেক্ষমাণ তালিকার চাকরিপ্রার্থীরা দায়ের করেছিলেন। সেই শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা ভাতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর কোনও আলোচনা বা তদন্ত ছাড়াই কেন তাড়াহুড়ো করে এই ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? শুধু তাই নয়, কেন তাড়াহুড়ো করে ভাতা ঘোষণা করা হল, তা নিয়েও শুনানিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। মামলাকারীরা দাবী করেছিলেন যে হাইকোর্ট যেন রাজ্যের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে। তবে বিচারক সেই মামলায় কোনও সিদ্ধান্ত দেননি।
No comments:
Post a Comment