লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১০ জুন ২০২৫: ক্রমবর্ধমান স্ক্রিন টাইমের এই যুগে, চোখে জল আসা, জ্বালাপোড়া, ফোলাভাব, ব্যথা এবং দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হওয়া সাধারণ সমস্যা হয়ে উঠছে। আগে মানুষ সাধারণত ৫০ বছর বয়সের পরেই চশমা পরতেন কিন্তু আজকাল ২ থেকে ৩ বছর বয়সী শিশুও চশমা পরে। এখন এটি একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অফিসে ল্যাপটপে কাজ করা এবং বাড়িতে মোবাইলের স্ক্রিনে কিছু না কিছু দেখা মানুষের নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এর ফলে চোখকে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে, আপনার খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করে এই সমস্যাগুলি কাটিয়ে ওঠা যেতে পারে। পুষ্টিবিদ ডাঃ স্বাতী সিং, এর জন্য খাদ্যতালিকায় ৫টি খাবার অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন। এই তালিকায় করলা ও মিষ্টি রসালো আমের নামও রয়েছে।
চোখের জন্য চমৎকারী খাবার-
১. গাজর- পুষ্টিবিদ ডাঃ স্বাতী সিং বলেন, নিয়মিত গাজর খেলে শরীরের অনেক উপকার হয়। এটি ত্বক, চোখ এবং চুলের জন্য খুবই উপকারী। গাজরে উপস্থিত বিটা-ক্যারোটিন চোখের জন্য উপকারী। গাজর চোখের সুরক্ষা প্রদানে কাজ করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপরও ভালো কাজ করে। গাজর নানাভাবে খাওয়া যেতে পারে। এটি রান্না করে বা সালাদ হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। এর স্যুপও খাওয়া যেতে পারে, যারা এটি সবজি হিসেবে খেতে পারেন না তারা এর হালুয়া বানিয়েও খেতে পারেন। গাজর আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ কারণ এটি চোখের পাশাপাশি পুরো শরীরের জন্যও খুবই উপকারী।
২. আম- আম খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমন স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। আমে বিটা-ক্যারোটিন নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে চোখকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এটি ভিটামিন এ-এর একটি ভালো উৎস যা দৃষ্টিশক্তি শক্তিশালী করে এবং চোখের শুষ্কতার সমস্যাও কমায়। ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধেও আম সহায়ক।
৩. করলা- তেতো স্বাদের কারণে করলা খুব কম মানুষই পছন্দ করেন। তবে এটি চোখের জন্য খুবই উপকারী। এতে বিটা-ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ রয়েছে, যা ছানির মতো সমস্যা প্রতিরোধে সহায়ক। করলা দৃষ্টিশক্তি শক্তিশালী করার পাশাপাশি কালো দাগ কমাতেও সহায়ক।
৪. কাজু- শুকনো ফলের কথা বলতে গেলে, কাজুতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি থাকে, যা চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এতে জিয়াক্সানথিন নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা চোখকে দূষণ এবং অতিবেগুনী রশ্মি থেকে রক্ষা করে। এটি রেটিনার ওপর একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে, যা চোখের সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
৫. মিষ্টি আলু- চোখকে রক্ষা করতে সহায়ক এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ মিষ্টি আলু খেলে চোখ সুস্থ ও উজ্জ্বল থাকে। মিষ্টি আলুতে ভিটামিন এ এবং বিটা-ক্যারোটিন পাওয়া যায়। এতে উপস্থিত অ্যান্থোসায়ানিন চোখের কালো দাগ এবং ফোলাভাব কমাতেও সহায়ক। প্রতিদিন এই জিনিসগুলি খাওয়া কেবল দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে না বরং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
No comments:
Post a Comment