বিনোদন ডেস্ক, ২৭ জুন ২০২৫: ৮ নভেম্বর ২০১৬, যখন প্রধানমন্ত্রী মোদী নোটবন্দীর ঘোষণা দেন, তখন রাস্তাঘাট এবং পাড়া-মহল্লায় সমস্ত এটিএমের বাইরে লম্বা লাইন দেখা যেত। টাকা তোলার জন্য মানুষ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতেন। যারা সেদিন নোটের জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতেন তারা নিশ্চয়ই সেদিন এটিএমের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন। আজ, ডিজিটাল পেমেন্টের যুগে, এটিএমের প্রয়োজনীয়তা হয়তো কমে গেছে, কিন্তু যখন ডিজিটাল যুগ ছিল না, তখন এটিএম খুবই কার্যকর ছিল। নিশ্চয়ই ভাবছেন কেন আজ এই কথা উঠছে! আসলে, এই দিনেই বিশ্ব তার প্রথম এটিএম পেয়েছিল। আসুন জেনে নিই এর আবিষ্কারের কাহিনী।
বিশ্বের প্রথম এটিএম কখন শুরু হয়েছিল?
২৭ জুন ১৯৬৭, লণ্ডনের এনফিল্ড এলাকায় বিশ্বের প্রথম এটিএম চালু হয়েছিল। আজ এটি ৫৮ বছর পূর্ণ করেছে। বিশ্বের প্রথম এটিএমটি বার্কলেস ব্যাংকের শাখার বাইরে স্থাপন করা হয়েছিল। আজ মানুষ হয়তো নির্ভয়ে এটিএম ব্যবহার করছেন, কিন্তু যখন মানুষ প্রথমবার এই মেশিন থেকে টাকা বের হতে দেখেন, তখন গোটা বিশ্ব অবাক হয়ে যায়। বিশ্বের এই প্রথম এটিএম থেকে টাকা তুলেছিলেন ব্রিটিশ অভিনেতা রেগ ভার্নি । আর আজ এর নেটওয়ার্ক সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।
এটিএমের ধারণাটি কীভাবে এল?
জন শেফার্ড-ব্যারনকে এই মেশিনের আবিষ্কারক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বলা হয় যে, ব্যারন এটিএম আবিষ্কার করেছিলেন কারণ তিনি যখনই টাকা তুলতে ব্যাংকে যেতেন, তখন অনেক লম্বা লাইন থাকত। তাঁকে ঘন্টার পর ঘন্টা সেই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হত। অনেক সময় শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকলে টাকা তোলা যেত না, এভাবেই তিনি এই মেশিন তৈরির ধারণা পান। সেই সন্ধ্যায় যখন তিনি বাড়ি ফিরে আসেন, স্নান করার সময় তার মনে হয় যে যদি চকলেট ভেন্ডিং মেশিন থেকে চকলেট বের হতে পারে, তাহলে কেন এমন একটি মেশিন তৈরি করা যাবে না যা টাকা দিতে পারে! এখন লণ্ডনে স্থাপিত বিশ্বের এই প্রথম এটিএম অনেক বদলে গেছে। বার্কলেস ব্যাংকের শাখায় স্থাপিত এই এটিএমটি ২০১৭ সালে ৫০ বছর পূর্ণ হওয়ার উপলক্ষে সোনার বানিয়ে দেওয়া হয়।
ভারতে এটিএম কবে থেকে এসেছে?
গত পাঁচ দশক ধরে, এতে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনা হচ্ছে, যা এখনও চলছে। ভারতের প্রথম এটিএম সম্পর্কে বলতে গেলে, ১৯৮৭ সালে এখানে প্রথম এটিএম শুরু হয়েছিল। মুম্বাইতে, এইচএসবিসি অর্থাৎ হংকং এবং সাংহাই ব্যাংক কর্পোরেশন মুম্বাইয়ের একটি শাখায় একটি এটিএম মেশিন স্থাপন করেছিল। আরবিআই অনুসারে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ দেশে ২,৩৪,২৪৪টি মেশিন স্থাপন করা হয়েছিল। জন শেফার্ড আগে এই এটিএম মেশিনের পিন ছয় সংখ্যার রেখেছিলেন, কিন্তু বলা হয় যে, তার স্ত্রীয়ৈর এটি মনে রাখতে অসুবিধা হচ্ছিল, তাই তিনি এটি ৪ সংখ্যায় পরিবর্তন করেন।
No comments:
Post a Comment