ছাত্রী গণধ-র্ষণ কাণ্ডে‌ তৃণমূল-বিজেপি তরজা! কী বলছেন শাসক-বিরোধী নেতারা?

কলকাতা, ২৭ জুন ২০২৫, ১৬:৩৫:০১ : কলকাতার একটি নামী আইন কলেজে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা সকলকে নাড়া দিয়েছে। টাউন পুলিশ এই ঘটনায় তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে, যার মধ্যে কলেজের প্রাক্তন ছাত্র এবং দুই কর্মচারীও রয়েছেন। সূত্র মতে, ধৃত অভিযুক্তদের মধ্যে একজন কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের সাথেও যুক্ত। আরও বলা হচ্ছে যে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে যুক্ত।

ভুক্তভোগী স্থানীয় পুলিশকে জানিয়েছেন যে ২৫ জুন কলেজের ভেতরে তাকে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল। অভিযুক্তরা সন্ধ্যা ৭:৩০ থেকে রাত ১২:৫০ পর্যন্ত তাকে ধর্ষণ করে। একই সাথে, ভুক্তভোগীর অভিযোগের পর, পুলিশ মামলা দায়ের করে। ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে, পুলিশ তিন অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করে। সূত্র মতে, ধৃত অভিযুক্তদের মধ্যে একজন স্থানীয় তৃণমূল নেতা। কলেজ এবং আশেপাশের এলাকায় তার অনেক প্রভাব রয়েছে।

অন্যদিকে, এই বিষয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেছেন,"আমি এই মুহূর্তে ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানি না। কিন্তু যদি এটা সত্যি হয়, তাহলে সে তৃণমূল নেতা হোক বা না হোক, সে একজন অপরাধী।" তবে, তৃণাঙ্কুর আরও বলেন যে অভিযুক্ত কলেজ সম্পর্কিত অনেক কার্যকলাপের সাথে জড়িত ছিল। তবে বর্তমানে সে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোনও পদে অধিষ্ঠিত নেই। যদি অভিযুক্ত এই ঘটনায় জড়িত থাকে, তাহলে এমন শাস্তি দেওয়া হবে যে কেউ আর কখনও এই কাজ করার কথা ভাবতেও পারবে না।

একই সাথে, এই পুরো ঘটনাটি নিয়ে এখনও কিছু প্রশ্ন রয়ে গেছে। বুধবার, ভুক্তভোগী থানায় গিয়ে পুলিশকে জানান যে ঘটনাটি সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০:৫০ এর মধ্যে ঘটেছে। সাধারণত, রাজ্যের যে কোনও কলেজ বিকেল ৫টায় বন্ধ হয়ে যায়। তাই প্রশ্ন হল সেই সময় কলেজে ছাত্রীটি কী করছিল?

সূত্র অনুসারে, ভুক্তভোগী পুলিশকে জানিয়েছেন যে অভিযুক্ত ছাত্রীকে ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজে ডেকেছিল। বলা হচ্ছে যে তৃণমূল নেতা ছাত্রীকে ধর্ষণ করতে থাকেন। একই সাথে, সেখানে উপস্থিত অন্য দুই অভিযুক্ত তাকে সাহায্য করতে থাকেন। মেয়েটি প্রতিবাদ করে। সে অভিযুক্তের কাছে করুণা ভিক্ষা করতে থাকে। কিন্তু অভিযুক্ত তাকে টেনে ঘরে নিয়ে যেতে থাকে। এই সময় সে বলে যে তার একজন প্রেমিক আছে। তারপর অভিযুক্ত নির্যাতিতাকে তার প্রেমিককে খুন করার হুমকি দেয়।

বিজেপি এই বিষয়ে তৃণমূলকে লক্ষ্য করেছে। বিজেপি সাংসদ শমীক বলেছেন যে পুরো তৃণমূল কংগ্রেসই এই রকম। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তারা সকলেই তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে যুক্ত।