উত্তর ২৪ পরগনা, ২৩ জুলাই ২০২৫: তাহলে কি স্ত্রীর আঘাতেই স্বামীর মৃত্যু? মৃতের শরীরে একাধিক জায়গায় রয়েছে আঘাতের চিহ্ন, স্বামী-স্ত্রীর ভিতরে হাতাহাতি, গুরুতর আঘাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন স্বামী। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। স্ত্রীকে গ্রেফতারের দাবীতে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ। পুলিশ এসে আটক করে থানায় নিয়ে যায় স্ত্রীকে। থমথমে গোটা এলাকা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া থানার নন্দনকানন এলাকায়।
জানা যায়, পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ৪৫ বছর বয়সী দীপঙ্কর মণ্ডল প্রতিদিনের ন্যায় এদিনও কাজে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, বাড়ি ফিরে স্ত্রী শম্পা মণ্ডলের সাথে অশান্তি শুরু হয়। সেই অশান্তি এক সময় হাতাহাতির রূপ নেয়। স্ত্রীর আঘাতে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন দীপঙ্কর। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়দের তৎপরতায় তাঁকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। যদিও মৃত দীপঙ্কর মণ্ডলের মেয়ে স্নেহা জানিয়েছেন, বাবার হাই সুগার ছিল সেই কারণেই এই মৃত্যু। তবে মৃত ব্যক্তির মাথায় এবং ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন থাকায় মৃতের দাদা ও দিদি জানিয়েছেন দীপঙ্করের মৃত্যু হয়েছে স্ত্রী শম্পা মণ্ডলের করা ভারী আঘাতের কারণেই।
এদিকে দীপঙ্করের মৃত্যুর খবর চাউর হতেই তাঁর স্ত্রী শম্পা গ্রেফতারের দাবী তুলে দীপঙ্করের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। পরবর্তীতে হাবড়া থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মৃত দীপঙ্কর মণ্ডলের স্ত্রী শম্পা মণ্ডলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ইতিমধ্যেই হাবরা থানার পক্ষ থেকে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট ধোঁয়াশা। ঠিক কি কারণে মৃত্যু হয়েছে জানতে দেহ বুধবার ময়না তদন্তের জন্য বারাসাত হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
No comments:
Post a Comment