হিন্দু ধর্মে, দেবী দুর্গাকে শক্তি ও ভক্তির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নবরাত্রী এবং অন্যান্য বিশেষ উৎসবে তাঁর পূজা করলে জীবনের সমস্ত দুঃখ দূর হয় এবং সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। তবে, শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে কেবল পূজাই নয়, প্রার্থনা, আরতি এবং মন্ত্র পাঠও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি ছাড়া দেবীর পূজা অসম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
দুর্গা সপ্তশতী পাঠ
দুর্গা সপ্তশতীতে ৭০০টি শ্লোক রয়েছে, যা "চণ্ডী পাঠ" নামেও পরিচিত।
নবরাত্রিতে অথবা বিশেষ তিথিতে এটি পাঠ করলে ভক্তের শক্তি, সাহস এবং বিজয় লাভ হয়।
এই পাঠ নেতিবাচক শক্তি এবং শত্রুর বাধা দূর করে।
দেবী চালিশা পাঠ
দেবী চালিশা দেবী দুর্গার উদ্দেশ্যে নিবেদিত ৪০টি শ্লোক নিয়ে গঠিত।
এটি পাঠ করলে ভক্তের মানসিক শান্তি এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়।
প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় এটি পাঠ করলে দেবীর আশীর্বাদ অব্যাহত থাকে।
মা দুর্গার আরতি
দেবীর আরতি ছাড়া পূজা সম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হয় না।
আরতির সময় প্রদীপ এবং ঘণ্টার ব্যবহার অপরিহার্য।
আরতি পরিবেশকে পবিত্র করে এবং শক্তিতে ভরিয়ে দেয়।
শক্তিশালী মন্ত্র
ওম আইম হ্রিম ক্লীম চামুণ্ডায়ে বিচ্ছু ওমকে সবচেয়ে শক্তিশালী দেবী মন্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এটি পাঠ করলে ভয় এবং শত্রুর বাধা দূর হয়।
মন্ত্র জপ করার সময় মন, বাক এবং আচরণের পবিত্রতা অপরিহার্য।
ভোগ ও নৈবেদ্য
দেবী দুর্গাকে সন্তুষ্ট করার জন্য ফল, মিষ্টি এবং পঞ্চামৃত নিবেদন করা হয়।
প্রতিদিন দেবীর রূপ অনুসারে নৈবেদ্য ভিন্ন হয়, যেমন দেবী শৈলপুত্রীর উদ্দেশ্যে ঘি, দেবী ব্রহ্মচারিণীর উদ্দেশ্যে চিনি এবং দেবী চন্দ্রঘণ্টার উদ্দেশ্যে দুধ।
ভক্তি ও নিয়মিতভাবে এই আচারগুলি সম্পাদন করলে দেবী দুর্গা দ্রুত প্রসন্ন হন এবং ভক্তদের জীবন থেকে দুঃখ, ভয় এবং কষ্ট দূর করেন।
No comments:
Post a Comment