ভারতের আক্রমণে বিধ্বস্ত শাহবাজ , তড়িঘড়ি রাষ্ট্রপতির কাছে ছুট, লক্ষ্য কি মুনিরকে থামানো?

পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর, ভারত 'অপারেশন সিন্দুর'-এর মাধ্যমে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের আস্তানাগুলিকে লক্ষ্য করে। এতে পাকিস্তান, বিশেষ করে তার সেনাবাহিনী ক্ষুব্ধ হয়। পহেলগাম হামলার মাত্র কয়েকদিন আগে, সেনাপ্রধান জেনারেল অসীম মুনির একটি অনুষ্ঠানে হিন্দু ও মুসলিমদের উপর ভিত্তি করে বিখ্যাত 'দ্বিজাতি তত্ত্ব'র কথা উল্লেখ করেছিলেন। এই অনুষ্ঠানে মুনিরকে খুব উৎসাহী দেখাচ্ছিল। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে পাকিস্তানের জনগণের উচিত তাদের সন্তানদের এই বিষয়ে বলা। অভিযোগ করা হচ্ছে যে পহেলগাম আক্রমণটি সরাসরি অসীম মুনিরের নির্দেশে পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

পহেলগাম হামলার ষড়যন্ত্রের লক্ষ্য ছিল আবারও বিশ্বজুড়ে কাশ্মীরের বিষয়টি উত্থাপন করা। কিন্তু ভারত অপারেশন সিন্দুরের মাধ্যমে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী কারবারীদের কঠিন শিক্ষা দিয়েছে। এর ফলে পাকিস্তানি সেনাপ্রধান অসীম মুনিরের আতঙ্ক স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই ইমরান খানের দল পিটিআইকে, যারা সেখানে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল, ক্ষমতায় আসতে দেয়নি। অসততার মাধ্যমে তিনি নওয়াজ শরীফের ছোট ভাই শাহবাজ শরীফের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। যেখানে আসিফ আলী জারদারির দলকে জোটের অংশীদার করা হয়েছিল। আসিফ আলী জারদারি বর্তমানে রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ঔদ্ধত্য

অপারেশন সিন্দুরের পর, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতকে জবাব দেওয়ার সাহস পেয়েছে এবং এর জন্য তারা মূল্য দিচ্ছে। অপারেশন সিন্দুরের পরের দিনই, শাহবাজ শরীফ জাতীয় পরিষদে দাবি করেছিলেন যে ৮০টি ভারতীয় বিমান আক্রমণ করতে গিয়েছিল, যার মধ্যে ৫টি গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছিল। এর মধ্যে রাফায়েল যুদ্ধবিমানও রয়েছে। কিন্তু পরে তার দাবি অসার প্রমাণিত হয়। এরপরও পাকিস্তান তার ঘৃণ্য কার্যকলাপ বন্ধ করেনি এবং টানা দুই দিনে ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় অসংখ্য ড্রোন হামলা চালিয়েছে। যদিও তাদের বেশিরভাগকেই গুলি করে নষ্ট করা হয়েছে।