প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩০ মে : জামাইষষ্ঠী মানেই কিন্তু হরেক রকমের পদ। ডাল থেকে শুরু করে মটন, ভুরিভোজে নেই কোনও শেষ। তারউপর উপহার বিনিময়। শ্বশুর-শাশুড়ির আশীর্বাদপ্রাপ্তি থেকে পঞ্চব্যঞ্জনে সাজানো হয় জামাইয়ের পাত। অনেকেই রেস্তরাঁয় না গিয়ে নিজে হাতে রকমারি পদ রান্না করে জামাইয়ের উদরপূর্তি করতে ভালোবাসেন। শ্রীময়ী চট্টরাজের মা'ও সেই পথেই হাঁটেন। নিজে হাতে রকমারি পদ রান্না করে পঞ্চব্যাঞ্জনে দুই জামাইয়ের পাত সাজিয়ে দেন। এবার কেমনভাবে জামাইষষ্ঠী পালন করতে চলেছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী?
শ্রীময়ী জানান, আমার যেহেতু শুটিং থাকছে এখন রোজ, তাই এবারের জামাইষষ্ঠীর উদযাপন আমাদের বাড়িতেই হবে। মায়ের ইচ্ছে ছিল, ওবাড়িতে হোক। কিন্তু কৃষভির জন্য মাকে এখন আমাদের বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে। আমারও শুট থাকবে। আর টাইট শিডিউলে ছোট বাচ্চা নিয়ে এদিক-ওদিক করা খুব সমস্যার। অগত্যা এবার মাকে জামাইষষ্ঠীর উদযাপন আমাদের বাড়িতেই করতে হবে। যদিও জামাইষষ্ঠী রবিবার পড়েছে, তবে যেহেতু সিরিয়াল সদ্য শুরু হয়েছে, উপরন্তু এই সপ্তাহে গল্পে বিয়ের অনুষ্ঠান দেখানো হবে, তাই ছুটি নিতে মন সায় দিচ্ছে না। তাই কাজ সামলেই এবার ষষ্ঠী পালন করার পরিকল্পনা রয়েছে আমার। দিদি-জামাইবাবুও আমাদের বাড়িতে আসবেন। সর্বপরি এবারের জামাইষষ্ঠীতে আমাদের বাড়িতে একটা ভালো গেট-টুগেদার হবে।
তিনি আরও জানালেন, মা ষষ্ঠীর সুতো বেঁধেই আমাদের ফলাহার সাজিয়ে দেন। তালপাখার হাওয়ায় 'ষাট' দেওয়া হয়। সেসব রীতি পালন হবেই। কৃষভির অনেক ছোট। আগেরবার ও আমার গর্ভে ছিল। ওর এবার প্রথম ষষ্ঠী। তবে ছোটদের জন্য কোনও নিয়ম নেই আমাদের বাপেরবাড়িতে।" জামাইষষ্ঠী মানেই তো রকমারি পদে পাত পেড়ে জামাইদের উদরপূর্তির রেওয়াজ। এবারের ষষ্ঠীতে জামাই কাঞ্চনের পাতে কী কী পদ পড়ছে? প্রশ্ন করতেই শ্রীময়ী জানালেন, মায়ের যেহেতু ছেলে নেই, তাই মা কাঞ্চন আর আমার জামাইবাবুকে পেটপুরে খাওয়াতে খুব ভালোবাসে।
মেনু কীরকম থাকবে! আদ্যোপান্ত বাঙালিয়ানা। যে কোনও অনুষ্ঠানেই আমাদের প্রথম পছন্দ বাঙালি পদ। জামাইষষ্ঠীতেও তার অন্য়থা হচ্ছে না। মা আগেই ঠিক করে রেখেছেন কী কী রাঁধবেন। শুরু হবে ফলাহার দিয়ে। প্রাতঃরাশে লুচি, ছোলার ডাল। যেহেতু কাঞ্চন আর আমার জামাইবাবু দুজনেই মৎস্যপ্রেমী মানুষ, তাই মধ্যাহ্নভোজের মেনুতে থাকছে- মাছের মাথা দিয়ে মুগের ডাল, মৌরলা মাছের ঝাল, ইলিশ মাছ আর মাটন মাস্ট! ও হ্যাঁ, কাঞ্চন চিংড়ি খেতে ভালোবাসে, তাই মা মেনুতে চিংড়ির মালাইকারি রাখার প্ল্যানও করেছে। আর শেষপাতে যেমন, চাটনি, দই-মিষ্টি থাকে। আর উপহারস্বরূপ জামাই-শাশুড়ি উভয়েই উভয়কে টাকা দেবে। কারণ আমি থাকলে কেনাকাটা হত। কিন্তু আমি শুটে ব্যস্ত এবার। তাই টাকাই দেওয়া হবে।
No comments:
Post a Comment