গ্রীষ্মকাল মানেই আমের রাজত্ব। পথেঘাটে, বাজারে, হোটেল-রেস্তোরাঁয় বা ঘরের রান্নাঘরে—সর্বত্র আমের সুবাস। আর এই আম দিয়ে তৈরি দুধ-আম মিল্কশেক বা ম্যাঙ্গো লস্যিও তো অনেকের প্রিয়। কিন্তু জানেন কি, আয়ুর্বেদশাস্ত্র বলছে, আম ও দুধ একসঙ্গে খাওয়া সবসময় স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে?
আয়ুর্বেদ মতে "বিরুদ্ধ আহার"
আয়ুর্বেদে একে বলা হয় বিরুদ্ধ আহার, অর্থাৎ বিপরীত প্রকৃতির খাবার একসঙ্গে খাওয়া। আম হল উষ্ণ প্রকৃতির, আর দুধ হল শীতল প্রকৃতির। এই দুই বিপরীত ধরণের খাবার একসঙ্গে খেলে হজমে গোলমাল হওয়া খুবই স্বাভাবিক। নিয়মিত খেলে হতে পারে:
গ্যাস, অ্যাসিডিটি ও পেট ব্যথা
হজমে সমস্যা
ত্বকে র্যাশ বা ফুসকুড়ি
মাথাব্যথা বা ক্লান্তিভাব
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ছোটদের হজমশক্তি তুলনামূলকভাবে দুর্বল। তাই বাচ্চাদের আম খাওয়ানোর পর অন্তত ১-২ ঘণ্টা পর্যন্ত দুধ না দেওয়াই ভালো। না হলে হতে পারে ডায়রিয়া বা পেটের অস্বস্তি।
তবে মিল্কশেক কি পুরোপুরি ক্ষতিকর?
না, একেবারে তা বলা যায় না। যদি একেবারে পাকা, মিষ্টি আম ব্যবহার করে হালকা দুধের সঙ্গে মিল্কশেক বানানো হয় এবং সঙ্গে যদি যোগ করা হয় হজম-বর্ধক মশলা যেমন এলাচ, দারচিনি বা গোলমরিচ—তবে সেই ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
চিকিৎসকদের পরামর্শ: “আম ও দুধ দুটোই ভালো খাবার, কিন্তু সব ভালো একসঙ্গে খেলে তা ভালো ফল নাও দিতে পারে। বিশেষ করে যাদের হজমে সমস্যা, ত্বকে অ্যালার্জি বা অ্যাসিডিটির প্রবণতা আছে, তাদের সাবধানে খাওয়া উচিত।”
কী করবেন?
আম খাওয়ার পর অন্তত ১ ঘণ্টা দুধ খাবেন না।
যদি মিল্কশেক খান, তবে তা হালকা ও ঘরেই তৈরি করুন।
কোনও অস্বস্তি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
No comments:
Post a Comment