প্রতিদিন সকালে অফিসযাত্রীদের ট্রেনযাত্রা এক বিষম অভিজ্ঞতা। ভিড় ঠেলে, হাতলে ঝুলে, গরমে হাঁসফাঁস করে পাড়ি দিতে হয় কর্মস্থলের পথে। সেই যন্ত্রণা এবার অনেকটাই কমতে চলেছে। শিয়ালদহ শাখার কৃষ্ণনগর-লালগোলা রুটে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল।
সূত্রের খবর, এই রুটে চলাচলকারী ১১টি মেমু (MEMU) ট্রেনকে ইএমইউ (EMU) ট্রেনে রূপান্তর করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে শুধু ভিড় কমবে না, যাত্রী পরিষেবার মানও হবে আরও উন্নত ও আরামদায়ক। যদিও কিছু প্রযুক্তিগত ও বাস্তব সমস্যার কারণে সিদ্ধান্তটি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে, তবুও রেল সূত্রে ইঙ্গিত, খুব শীঘ্রই এই পরিষেবা চালু করা হবে।
কী কী বদল আসছে?
এই নয়া পরিকল্পনা অনুযায়ী:
মেমু ট্রেনকে রূপান্তর করা হবে ইএমইউ ট্রেনে, যা প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত, দ্রুতগতিসম্পন্ন ও অধিক যাত্রী ধারণক্ষম।
আর গ্যালোপিং ট্রেন নয়, প্রতিটি স্টেশনে থামবে এই ট্রেনগুলি। ফলে ছোট স্টেশনের যাত্রীরাও উপকৃত হবেন।
রুট বিভাজনের উদ্যোগ: কৃষ্ণনগর-লালগোলা রুটকে ভাগ করা হচ্ছে দুটি পরিষেবায়— শিয়ালদহ-কৃষ্ণনগর এবং কৃষ্ণনগর-লালগোলা। এতে নিত্যযাত্রীদের জন্য পরিষেবা আরও সহজ ও সময়োপযোগী হবে।
ট্রেনের ব্যবধান কমবে, অর্থাৎ স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার প্রয়োজন পড়বে না।
নিত্যযাত্রীরা জানাচ্ছেন, আগে কৃষ্ণনগর থেকে লালগোলা ট্রেনে উঠতেই হিমশিম খেতে হতো। বহরমপুরের পর থেকেই ট্রেন হতো ঠাসাঠাসি। কিন্তু পরিষেবার এই বিভাজন ও ইএমইউ ট্রেন চালুর ফলে যাত্রা হবে অনেকটাই স্বস্তিদায়ক।
গ্রীষ্মের দাবদাহের মধ্যে ঠাসা ভিড়ে ট্রেনযাত্রা যে কতটা কষ্টকর, তা নিত্যযাত্রীরা ভালই জানেন। এবার রেলের নতুন পদক্ষেপে মিলবে সেই কষ্ট থেকে কিছুটা মুক্তি। ট্রেন হবে সময়ানুগ, কমবে ভিড়, বাড়বে গতি ও আরাম—এই আশায় বুক বাঁধছেন হাজার হাজার যাত্রী।
No comments:
Post a Comment