কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার পর, প্রথমবার জম্মুতে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন। চেনাব নদীর উপর বিশ্বের সর্বোচ্চ রেল সেতুর উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে তিনি জানালেন — এই হামলার পেছনে ছিল পাকিস্তানের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তান কেবল বোমা ফাটায়নি, ওরা কাশ্মীরের মেহনতি মানুষের রোজগারে আঘাত করেছে। পর্যটনই যেখানে হাজার হাজার পরিবারের জীবিকা, সেখানেই হামলা করে পাকিস্তান দেখিয়ে দিয়েছে, ওরা কাশ্মীরবাসীর শত্রু।”
মোদি স্পষ্ট বলেন, পাকিস্তানের মূল উদ্দেশ্য ছিল দাঙ্গা বাঁধানো। কিন্তু কাশ্মীরের মানুষ এই ষড়যন্ত্রে পা দেয়নি। বরং গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে, তারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একজোট। সাহসিকতার জন্য প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে উল্লেখ করেন আদিল আহমেদ শাহ-এর নাম — যিনি জীবন দিয়ে রক্ষা করেন আরও বহু নিরীহ মানুষকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন:
"কাশ্মীর এখন একতার পথে, উন্নয়নের পথে। কেউ আর এই গতিকে থামাতে পারবে না।"
চেনাব ও অঞ্জি ব্রিজের উদ্বোধনের মাধ্যমে কাশ্মীর প্রথমবার ভারতের মূল রেল নেটওয়ার্কে একীভূত হল। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “কাশ্মীরের আপেল এখন সরাসরি দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছাবে। পর্যটন বাড়বে, ব্যবসা বাড়বে — এটাই নতুন কাশ্মীরের প্রতিচ্ছবি।”
এদিকে কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী মোদিকে নিশানা করে বলেন, “ট্রাম্পের এক ফোনেই মোদি আত্মসমর্পণ করেন।” যদিও কংগ্রেসেরই আরেক নেতা শশী থারুর এই মন্তব্যকে ভুল বলে জানান — তাঁর মতে, ভারত নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিয়েছে, পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে চাপে রেখেই যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন করেছে।
কাশ্মীর বদলাচ্ছে। সন্ত্রাস নয়, এখন আলোচনার বিষয় উন্নয়ন, রেল, পর্যটন, কর্মসংস্থান।
আর সেই বার্তাই দিলেন মোদি —
“কাশ্মীর এখন জবাব দেয়, ভয় পায় না।”
No comments:
Post a Comment