প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২১ জুন ২০২৫, ০৮:০০:০১ : বর্ষাকাল কেবল শীতলতা এবং সতেজতাই বয়ে আনে না, বরং এটি অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও সাহায্য করে বলে বিশ্বাস করা হয়। বিশেষ করে যখন গ্রহের খারাপ প্রভাব বা আর্থিক বাধার কথা আসে, তখন বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রে বৃষ্টির জল সম্পর্কিত কিছু সহজ পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে। এগুলির এত শক্তি রয়েছে যে জীবনের কঠিন পথ সহজ হয়ে যায়। এই বিষয়ে আরও তথ্য দিয়েছেন ভোপাল-ভিত্তিক জ্যোতিষী এবং বাস্তু পরামর্শদাতা পণ্ডিত হিতেন্দ্র কুমার শর্মা।
ভারতে বর্ষার আগমন কেবল একটি ঋতু নয়, এটি একটি বিশেষ সময় যখন প্রকৃতি সম্পূর্ণরূপে সক্রিয় থাকে। আকাশ থেকে পড়া জল মাটি স্পর্শ করার সাথে সাথে কেবল মাটি ভিজিয়ে দেয় না, বরং এতে উপস্থিত নেতিবাচক শক্তিও দূর করে। এই কারণেই হিন্দু ধর্মে এটিকে দেবী লক্ষ্মীর কৃপা এবং পবিত্রতার প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
প্রথমবার বৃষ্টি হলে, সেই জল একটি পরিষ্কার পাত্রে সংগ্রহ করে আপনার স্নানের জলে মিশিয়ে নিন। এটি শরীরের সাথে সম্পর্কিত খারাপ শক্তি দূর করে এবং মনকে শান্ত করে। বিশেষ করে যাদের কুণ্ডলীতে রাহু, কেতু বা শনির প্রভাব আছে, তাদের অবশ্যই এই প্রতিকারটি করা উচিত।
বৃষ্টির জল ঘরের নেতিবাচকতা দূর করতেও সাহায্য করে। এটি একটি ছোট পাত্রে নিয়ে ঘরের প্রধান দরজা, ঘরের কোণে এবং পূজার স্থানে হালকাভাবে ছিটিয়ে দিন। শনিবার বা অমাবস্যায় করা এই প্রতিকারটি আরও কার্যকর। এতে ঘরে সুখ-শান্তি বজায় থাকে এবং ঝগড়া বা উত্তেজনা কমে।
কারও কুণ্ডলীতে রাহু বা কেতুর কারণে জীবনে বাধা বিপত্তি দেখা দিলে, বৃষ্টির জলে কালো তিল মিশিয়ে শিবলিঙ্গে নিবেদন করুন। এই প্রতিকারটি সেই ছায়া গ্রহগুলির খারাপ প্রভাবকে শান্ত করে এবং মনের অস্থিরতাও কমায়।
শ্রী যন্ত্র বা লক্ষ্মী যন্ত্র বৃষ্টির জল দিয়ে ধুয়ে তাতে চন্দন বা জাফরানের তিলক লাগান। এই পদ্ধতি আর্থিক বাধা দূর করতে সাহায্য করে এবং আয়ের নতুন পথ খুলে দেয়। শুক্রবার এটি করা আরও শুভ বলে মনে করা হয়।
যখন বৃষ্টি হচ্ছে বা তার ঠিক পরে, একটি প্রদীপে ঘি বা তিলের তেল রেখে জলে প্রবাহিত করুন। এই প্রতিকার মনের ইচ্ছা পূরণে সাহায্য করে এবং আপনি বারবার আটকে থাকা কাজে সাফল্য পেতে পারেন।
No comments:
Post a Comment