লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৪ জুন ২০২৫: শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ঘি শক্তি এবং সুস্থতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। কিন্তু ঘি তখনই উপকারী যখন এটি সঠিক উপায়ে খাওয়া হয়। বিজ্ঞানও নিশ্চিত করেছে যে ঘি পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। হেলথলাইনের মতে, এক চা চামচ ঘিতে প্রায় ১৪ গ্রাম ফ্যাট থাকে, তবে এই ফ্যাট অত্যন্ত শক্তিশালী। এটি ক্ষতি করে না। এতে স্যাচুরেটেড, মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এর পাশাপাশি, এতে প্রোটিন, ভিটামিন এ, ই এবং কেও থাকে। কিন্তু যদি ঘি ভুল উপায়ে ব্যবহার করা হয়, তবে এটি ক্ষতির কারণও হতে পারে।
ঘি কখন খারাপ হয়?
নিউজ এইটটিন হিন্দির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্লিনিকাল ডায়েটিশিয়ান ডাঃ প্রিয়াঙ্কা রোহাতগি বলেন, ঘিয়ে মিডিয়াম চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এটি হজমের জন্য খুবই ভালো। এটি সহজে হজম হয়। কিন্তু ঘি বেশি গরম করলে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হবে কারণ এতে থাকা ফ্যাটি চেইনের গঠন ভেঙে যাবে। এর জারণের কারণে, এটি খাওয়ার সময় ফ্রি র্যাডিকেল তৈরি হতে শুরু করবে, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বৃদ্ধি করবে, যা অনেক রোগের কারণ হতে পারে। ঘি ৬০-৭০ ডিগ্রির বেশি গরম করা উচিৎ নয়। তাই, আগের দিনে কাঁচা ঘি গরম রুটির ওপর দিয়ে খাওয়া হত। আজও এটি এভাবেই খাওয়া উচিৎ।
ঘিয়ের পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা
ঘিতে উপস্থিত মিডিয়াম চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড সহজেই হজম হয়। তাই এটি শরীরকে শক্তি দিতে সাহায্য করে। এটি হৃদপিণ্ডের জন্যও খুবই উপকারী কারণ হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যকর চর্বি প্রয়োজন। এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। তাই, যখনই আপনি ঘি খান, তখন এটি কম আঁচে গলিয়ে নিন অথবা সরাসরি গরম খাবারে যোগ করুন যাতে এটি ধীরে ধীরে গলে যায় এবং এর পুষ্টি অক্ষুণ্ণ থাকে।
ঘি কত পরিমাণে খাওয়া উচিৎ?
ডঃ প্রিয়াঙ্কা রোহাতগি বলেন, দিনে দুই চামচের বেশি ঘি খাওয়া উচিৎ নয়। ঘি যতই পুষ্টিকর হোক না কেন, বেশি খেলে চর্বি বাড়বে। বেশি ঘি খেলে শক্তিতে রূপান্তরিত হবে না। এটি শরীরে চর্বি হিসেবে জমা হতে পারে। তাই সীমিত পরিমাণে ঘি খান।
No comments:
Post a Comment