লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১১ জুন ২০২৫: মস্তিষ্কের ভেতরে যখন কোষ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, তখন তাকে ব্রেন টিউমার বলা হয়। এই টিউমার মস্তিষ্কের টিস্যুতে বা মস্তিষ্কের টিস্যুর কাছাকাছি হতে পারে। এর পাশাপাশি, এটি মস্তিষ্কের কাছাকাছি স্নায়ু, পিটুইটারি গ্রন্থি, পাইনাল গ্রন্থি এবং মস্তিষ্কের পৃষ্ঠকে আচ্ছাদিত পর্দায়ও হতে পারে। এতে একটি পিণ্ড তৈরি হতে শুরু করে যা প্রথমে চুলের চেয়ে পাতলা কিন্তু ধীরে ধীরে অনেক বেড়ে যায়। যখন মস্তিষ্কে ব্রেন টিউমার হয়, তখন তাকে প্রাথমিক ব্রেন টিউমার বলা হয়। কিন্তু যখন শরীরের অন্যান্য অংশ থেকে ক্যান্সার কোষ মস্তিষ্কে পৌঁছায়, তখন তাকে সেকেন্ডারি ব্রেন টিউমার বলা হয়। একে মেটাস্ট্যাটিক ব্রেন টিউমারও বলা হয়। এটি সাধারণত ক্যান্সার।
লক্ষণীয় বিষয় হল, টিউমারটি ক্যান্সারযুক্ত হতে পারে এবং অ-ক্যান্সারযুক্তও হতে পারে। একটি নন-ক্যান্সারযুক্ত টিউমারকে বেনাইন ব্রেন টিউমার বলা হয়। একটি বেনাইন টিউমার শরীরের যেকোনও অংশে হতে পারে। ব্রেন টিউমার একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক রোগ। যদি এটি শুরুতেই শনাক্ত করা যায়, তাহলে এই রোগটি সহজেই এড়ানো যায়। এমন অনেক লক্ষণ রয়েছে, যার ভিত্তিতে এটি শুরুতেই শনাক্ত করা যায়। যেমন -
১. ক্রমাগত মাথাব্যথা- মায়ো ক্লিনিকের মতে, ব্রেন টিউমার নানাভাবে মাথাব্যথার কারণ হয়। এটি ক্রমাগত হতে থাকে। ওষুধ খাওয়ার পরেও কিছু সময় পরে আবার শুরু হয়। বারবার মাথাব্যথা আরও গুরুতর বলে মনে হয়। এই মাথাব্যথা কখনও কখনও টেনশন বা মাইগ্রেনের আকারেও দেখা দেয়।
২. ঝাপসা দৃষ্টি- ব্রেন টিউমারের ক্ষেত্রে ঝাপসা দৃষ্টি দেখা দেয়। কারণ চোখের স্নায়ুগুলি যা মস্তিষ্কে যায় তাও প্রভাবিত হয়, এটি চোখকে দুর্বল করে দেয়। এতে কখনও কখনও একটি জিনিস দ্বিগুণ দেখা দিতে শুরু করে।
৩. হাত ও পায়ে অনুভূতি হ্রাস- ব্রেন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে হাত ও পায়ের স্নায়ু দুর্বল হয়ে পড়ে যার ফলে মস্তিষ্ক থেকে সংকেত পাওয়া যায় না। এর ফলে হাত ও পায়ে কোনও অনুভূতি হয় না, যার কারণে কিছু করা কঠিন হয়ে পড়ে।
৪. শরীর নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন- যখন হাত ও পায়ে অনুভূতি হ্রাস পায়, তখন স্পষ্টতই শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
৫. শ্রবণ ও কথা বলার সমস্যা- ব্রেন টিউমারের ক্ষেত্রে কথা বলার পাশাপাশি শ্রবণেও সমস্যা হয়।
৬. দৌড়ানো- মস্তিষ্কের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে, কেউ হঠাৎ দৌড়াতে শুরু করতে পারে। রোগীর এই দৌড়াদৌড়ি আগে ঘটে না।
৭. স্মৃতিশক্তি দুর্বল - মস্তিষ্কের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে, স্মৃতিশক্তিতে অনেক সমস্যা হয়। কেউ কিছু মনে রাখতে পারে না। মনে সবসময় বিভ্রান্তি থাকে। মাথা ঘোরা অনুভব করে। মাঝে মাঝে বমি বমি ভাব হয়। এই রোগে প্রচুর ক্লান্তিও থাকে।
বি.দ্র: শারীরিক যে কোনও সমস্যায় শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
No comments:
Post a Comment