প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৩ জুন ২০২৫, ২০:৩৫:০১ : শুক্রবার আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ধুবড়ি জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছেন। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এই জেলায় সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে যারা অশান্তি সৃষ্টি করবে তাদের উপর দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ বলবৎ থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী তার ধুবড়ি সফরের সময় বলেছিলেন, "আমি গুয়াহাটিতে পৌঁছানোর সাথে সাথেই এই নির্দেশ জারি করা হবে। যারা রাতে বাইরে ঘোরাফেরা করবে বা পাথর ছুঁড়বে তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হবে।"
গত সপ্তাহে ধুবড়িতে একটি মন্দিরের সামনে একটি গরুর মাথা পাওয়া যাওয়ার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বকরি ঈদের একদিন পর এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে, যার পর সোমবার এলাকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। পরের দিন একই রকম আরেকটি ঘটনা এবং পাথর ছোঁড়া পরিস্থিতি আরও গুরুতর করে তোলে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'নবীনা বাংলা' নামে একটি সংগঠন বকরি ঈদের আগে উস্কানিমূলক পোস্টার লাগিয়েছিল। এতে ধুবড়িকে বাংলাদেশের সাথে একীভূত করার কথা বলা হয়েছিল।
মুখ্যমন্ত্রী এটিকে রাজ্যের সার্বভৌমত্বের উপর সরাসরি আক্রমণ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, "এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী এবং RAF কর্মীদের মোতায়েন করা হবে। যারা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শীঘ্রই সমস্ত অপরাধীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হবে।"
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আরও বলেন যে এবার বকরি ঈদ উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গ থেকে হাজার হাজার গরু ধুবড়িতে আনা হয়েছিল এবং একটি নতুন গরুর মাংস মাফিয়া সক্রিয় হয়ে উঠেছে, যারা ব্যাপকভাবে গরু কিনেছিল। তিনি পুরো বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। অবৈধ ব্যবসায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, "ধুবড়িতে রাজ্য সরকার কোনও ধরণের সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না। ধুবড়ি আমাদের হাত থেকে যাবে না। প্রয়োজনে আমি নিজেই সারা রাত হনুমান মন্দির পর্যবেক্ষণ করব।"
No comments:
Post a Comment