সকাল-সকাল এই লাল ফলটি খান, শিরায় আটকে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল হবে সম্পূর্ণ উধাও - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, June 6, 2025

সকাল-সকাল এই লাল ফলটি খান, শিরায় আটকে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল হবে সম্পূর্ণ উধাও


লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৬ জুন ২০২৫: আপেল স্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রাচীনকাল থেকেই বলা হয়ে আসছে যে, প্রতিদিন একটি আপেল খেলে রোগের ঝুঁকি কমে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আপেল হৃদরোগের জন্য খুবই উপকারী বলে বিবেচিত হয়। এটি খেলে হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যার ঝুঁকি কমানো যায়। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ২টি আপেল খেলে শরীরে জমে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল কমানো যায়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি আপেল খেলে খারাপ কোলেস্টেরল অর্থাৎ এলডিএলের মাত্রা কমে। হৃদরোগ প্রতিরোধের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 


অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, আপেলে উপস্থিত দ্রবণীয় ফাইবার পেকটিন শরীরে কোলেস্টেরলের শোষণ কমায়। সকালে খালি পেটে আপেল খেলে এই পেকটিন শরীরে প্রবেশ করে এবং অতিরিক্ত কোলেস্টেরল শোষণ করে তা বের করে দেয়। এটি ধীরে ধীরে খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। আপেলে কোয়ারসেটিন, ক্যাটেচিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও থাকে, যা শরীরের ফ্রি র‍্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে। প্রতিদিন আপেল খেলে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি হৃদপিণ্ডের ধমনী পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।


বিশেষজ্ঞদের মতে, স্থূলতা এবং বর্ধিত ওজন খারাপ কোলেস্টেরলের অন্যতম প্রধান কারণ। আপেলে ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি থাকে, যা দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা রাখে এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা কমায়। প্রতিদিন সকালে আপেল খেলে ধীরে ধীরে ওজন কমে, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আপেলের গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে, তাই এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা কোলেস্টেরলের জন্যও উপকারী, কারণ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্রুত এলডিএল মাত্রা বৃদ্ধির ঝুঁকি থাকে। প্রতিদিন দুটি আপেল খেলে কেবল হৃদয়ই নয়, লিভার এবং কিডনিও সুস্থ থাকে।


সকালে খালি পেটে আপেল খাওয়া সবচেয়ে উপকারী বলে মনে করা হয়, কারণ তখন শরীরের হজম প্রক্রিয়া দ্রুত হয় এবং পুষ্টির শোষণ আরও ভালোভাবে ঘটে। খোসা সহ আপেল খাওয়ার চেষ্টা করা উচিৎ, কারণ পেকটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি বড় অংশ খোসার মধ্যেই থাকে। কিন্তু দুধ বা চায়ের সাথে কখনও আপেল খাবেন না, এটি গ্যাস বা বদহজমের কারণ হতে পারে। আপেল কেবল সুস্বাদুই নয়, এটি স্বাস্থ্যের দিক থেকেও একটি সুপারফ্রুট। আপনি যদি কোলেস্টেরল কমানোর জন্য ওষুধ খাওয়া এড়াতে চান, তাহলে অবশ্যই প্রতিদিন সকালে আপনার রুটিনে একটি আপেল অন্তর্ভুক্ত করুন। এটি একটি ছোট পরিবর্তন, তবে এর উপকারিতা সারা জীবন স্থায়ী হয়। আর হ্যাঁ, খাদ্যতালিকায় কোনও পরিবর্তনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad