লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১১ জুন ২০২৫: ফলের রাজা আম, প্রাপ্তবয়স্ক হোক বা শিশু, প্রায় সবারই প্রিয়। গ্রীষ্মকালে আম প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। গ্রীষ্মকালে বিভিন্ন জাতের আম পাওয়া যায় এবং আম পুষ্টিতে ভরপুর। আম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্যও নানাভাবে উপকারী। এটি মিষ্টি এবং স্বাদে সুস্বাদু ও এর অনেক গুণও রয়েছে। আম খেলে ত্বকও সুস্থ থাকে। ত্বক চকচকে এবং সতেজতায় ভরপুর হয়ে ওঠে। আম খাওয়ার আরও কী কী উপকারিতা রয়েছে তা জেনে নেওয়া যাক -
-যদি গ্রীষ্মে ত্বক নিষ্প্রাণ এবং শুষ্ক হয়ে যায়, তাহলে আম খেলে ত্বকের উন্নতি হয়। আম স্বাদ এবং সৌন্দর্যের এক দুর্দান্ত মিশ্রণ, যা গ্রীষ্মকে বিশেষ করে তোলে।
-মার্কিন জাতীয় মেডিসিন গ্রন্থাগার অনুসারে, আমে উপস্থিত কিছু পুষ্টি উপাদান ত্বকের জন্য উপকারী। বিটা-ক্যারোটিন নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে উজ্জ্বল এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ফেনোলিক অ্যাসিড ত্বককে বাইরের ক্ষতি, যেমন সূর্যালোক এবং দূষণ থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও, এতে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড রয়েছে, যা ত্বককে ময়শ্চারাইজ করে এবং তরুণ রাখে।
-আমে উপস্থিত ম্যাঙ্গিফেরিন নামক একটি উপাদান একটি প্রাকৃতিক যৌগ, যা প্রদাহ কমায় এবং সূর্যের ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এটি ত্বককে আলগা এবং কুঁচকে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে।
-আমে 'ফেনোলিক অ্যাসিড' নামক প্রাকৃতিক রাসায়নিক থাকে। এর মধ্যে প্রধান হল 'গ্যালিক অ্যাসিড', 'ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড', 'প্রোটোক্যাচুইক অ্যাসিড', 'ভ্যানিলিক অ্যাসিড'। এগুলি সবই ত্বকের জন্য উপকারী বলে বিবেচিত হয়। গ্যালিক অ্যাসিড ত্বককে নমনীয় করে তোলে। ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, যা কফিতেও পাওয়া যায়। নিয়মিত এটি খেলে জাপানি মহিলাদের রোদের কারণে হওয়া কালো দাগ কমে।
-আম পাতাও খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, নাইট্রোজেন, পটাসিয়াম, ভিটামিন এ, বি, সি, ই, ফসফরাস, আয়রন রয়েছে।
-আমের পাতায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের যত্নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই পাতাগুলি তীব্র সূর্যের রশ্মি, দূষণ এবং মুক্ত র্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
-এর প্রতিদিনের ব্যবহার ত্বককে টানটান করে, বলিরেখা এবং সূক্ষ্ম রেখা কম দেখা যায়। আম পাতা দাগ হালকা করতে এবং মুখ পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment