লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৬ জুন ২০২৫: আজকের ব্যস্ত জীবনধারায় ত্বকের যত্ন নেওয়া হয়ে ওঠে না খুব একটা। বিশেষ করে ঘরোয়া, প্রাকৃতিক উপায়ে রূপচর্চা করা কঠিন হয়ে পড়ছে। বাজারে অনেক ধরণের পণ্য পাওয়া গেলেও সেগুলো ব্যয়বহুল। আবার অনেক সময় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা দেয়। তাহলে উপায়! উপায় তো আছে আর এটি খুব সহজও। এর জন্য আপনার প্রয়োজন ভাতের জল বা মাড়। ভাতের মাড় প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চার অমূল্য উপাদান হিসেবে পরিচিত। এটি ত্বক ও চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
ভাতের মাড়ের উপকারিতা
১. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি: ভাতের মাড়ে উপস্থিত ভিটামিন বি ও ই ত্বককে উজ্জ্বল ও সতেজ রাখে। এটি ত্বকের রঙ সমান করে এবং দাগহীন ত্বক প্রদান করে।
২. প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে: ভাতের মাড় ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স করে, অতিরিক্ত তেল শোষণ করে এবং ত্বককে মসৃণ করে।
৩. বয়সের ছাপ কমাতে সহায়ক: এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের বয়সজনিত পরিবর্তন রোধ করে এবং ত্বককে টানটান রাখে।
৪. সানবার্ন ও চুলকানি কমায়: ভাতের মাড় ত্বকের জ্বালা, চুলকানি ও সানবার্ন কমাতে সাহায্য করে।
৫. ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে: এটি ত্বকে আর্দ্রতা প্রদান করে, ফলে ত্বক মসৃণ ও কোমল থাকে।
ভাতের মাড় ব্যবহারের পদ্ধতি-
প্রস্তুতি:
অর্ধেক কাপ ভাতের সাথে ২ কাপ জল মিশিয়ে ৩০-৪০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
এরপর জল ঝরিয়ে নিন, এটি আপনার ত্বক পরিচ্ছন্ন করার জন্য প্রস্তুত।
ব্যবহার:
প্রতিদিন সকালে ও রাতে তুলা দিয়ে মুখে প্রলেপ দিন।
৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
অথবা, ফ্রিজে রেখে বরফ কিউব তৈরি করে প্রতিদিন মুখে মালিশ করুন।
সতর্কতা:
ভাতের মাড় ২৪ ঘন্টার বেশি বাইরে রাখবেন না; ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন।
প্রথমবার ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করুন।
ভাতের মাড় ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল, কোমল ও স্বাস্থ্যবান হতে পারে। এটি ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক ও সাশ্রয়ী উপায়।
No comments:
Post a Comment