প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১৬ জুন ২০২৫, ১৭:৪০:০১ : এই মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্য জ্বলছে এবং পুরো বিশ্ব নিঃশ্বাস বন্ধ করে তা দেখছে। একদিকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আকাশকে বিদীর্ণ করছে, অন্যদিকে ইজরায়েলের যুদ্ধযন্ত্র গর্জন করছে। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে এই যুদ্ধ কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইঙ্গিত? এই প্রশ্নের উত্তর কি আমেরিকার পরবর্তী পদক্ষেপের মধ্যেই নিহিত। বিশ্বের বৃহত্তম শক্তি আমেরিকা কি পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে? এখন পর্যন্ত আমেরিকা নিজেকে দূরে রেখেছে, তবে রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন বিবৃতি অনেক কিছু স্পষ্ট করে দিয়েছে। ট্রাম্প এবিসি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে আমেরিকার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে চলেছে। তিনি বলেছেন যে আমেরিকা কি এই যুদ্ধের আগুনে ইন্ধন যোগানোর জন্য কাজ করবে নাকি শান্তির দিকে জল ছিটিয়ে দেবে?
ইজরায়েল প্রথমে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে। এর জবাবে ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি গুলি ছুঁড়েছে। এই সংঘাত নতুন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এখন পর্যন্ত ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, ইরানে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ জন মারা গেছে, যার মধ্যে ১৪ জন পারমাণবিক বিজ্ঞানী, বেশ কয়েকজন সামরিক আধিকারিক, নারী ও শিশু রয়েছে। শুধুমাত্র একটি ভবন ধসে ৬০ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ২৯ জন শিশু। একই সময়ে, ইজরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৪ থেকে ২৪ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে। এই সংঘাত এখন কেবল সামরিক নয়, সাধারণ নাগরিকরাও এর জন্য সবচেয়ে বড় মূল্য দিচ্ছে।
আমেরিকা এখন পর্যন্ত এই যুদ্ধে ইজরায়েলকে প্রতিরক্ষামূলক সহায়তা দিয়েছে - যেমন ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ করা, কিন্তু এখনও সরাসরি যুদ্ধে যোগ দেয়নি। সূত্র অনুসারে, ইজরায়েলের ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে খুন করার সুযোগ ছিল। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছিলেন। মার্কিন প্রশাসন ইজরায়েলকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে - "না, এখন নয়!" তবে, ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই পরিকল্পনার অস্তিত্ব অস্বীকার করেছেন।
রবিবার এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে এই যুদ্ধে আমেরিকা কোন পক্ষে থাকবে। তিনি বলেন - "আমরা এতে জড়িত নই। এটা সম্ভব যে আমাদের জড়িত হতে হতে পারে। কিন্তু এখন আমরা যুদ্ধে নেই।" ট্রাম্পের কথা থেকে এখন পর্যন্ত স্পষ্ট যে আমেরিকা এক ধাপ পিছিয়ে আছে... কিন্তু যুদ্ধের জন্য তার দরজা খোলা!
আমেরিকা যদি মধ্যপ্রাচ্যের এই আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ে, তাহলে এই যুদ্ধ কেবল আঞ্চলিক নয়, বরং একটি বিশ্বব্যাপী সংকটে পরিণত হতে পারে।
No comments:
Post a Comment